তেলের খবর সবাই জানে! ঝুঁকিপূর্ণ মজুদ নিয়ে উদ্বেগ পূর্ণ খবর প্রকাশিত হয়েছে দফায়-দফায়। খোদ স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রশাসনের উদ্বেগ প্রকাশের পরও হয়নি কোন সমাধান। সাধারণের দুর্ঘটনার ভয় তো আছেই। এবার উপজেলা প্রশাসন চাইলেন নিয়ন্ত্রক বিভাগ ‘বিস্ফোরক’-এর সরাসরি অংশগ্রহন।
নিয়মনিতীর তোয়াক্কা না করে কেবলমাত্র কুষ্টিয়ার দৌলতপুরেই বাণিজ্য হচ্ছে দিনে অন্তত ১০ লাখ টাকার পেট্রোল-অক্টেনের। যা করছেন উপজেলাটির চার ব্যবসায়ী, তাদের এই জ্বালানীর মজুদ প্রক্রিয়া ভীষণ ভয়াবহ বলেই বলছে নিয়ম-কানুন। অনিয়মেই ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে দৌড়ঝাঁপও চালিয়ে যাচ্ছেন এই মজুদদারেরা। ব্যবসায়ীদের মজুদাগারে ভয়াবহ মজুদে কিভাবে চলছে বিদ্যুতের এলোমেলো সংযোগ, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে এবার। মজুদদারদের পরিচয় এবং পরিস্থিতি উল্লেখ করে প্রকাশিত খবরও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নখদর্পণে।
এ প্রসঙ্গে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার বলেন, মূলত আমাদের পাশাপাশি পদক্ষেপ নেয়ার জন্য আরও যারা আছেন তাদেরকেও অংশ নিতে হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় এবং বিভাগীয় বিস্ফোরকের অংশগ্রহন প্রয়োজন। এসময় তিনি আরও বলেন, এটা বিরাট বড় উপজেলা বিভাগ (খুলনা) বা মন্ত্রণালয়ের টিমের সরেজমিন সহযোগীতা দরকার।
খুলনা বিভাগীয় বিস্ফোরক পরিদর্শক ড.আসাদুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন (দৌলতপুর,কুষ্টিয়া) আমাদের সহযোগীতা চাইলে অবশ্যই শতভাগ পাবে। সেখানকার অনিয়ম ও পরিস্থিতি আমরা অবগত।
আরেকদিকে, কুষ্টিয়া পল্লী বিদ্যুত সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (দৌলতপুর জোন) মির্জা কে.ই তুহিন বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের কাছে মিটার পর্যবেক্ষণকারী রিপোর্ট দিলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির বিষয়ে গণমাধ্যমে জেনেছি।
জানা গেছে, প্রকৃতপক্ষে এমন ব্যবস্থাপনায় বৈদ্যুতিক সংযোগ রাখা বা দেয়াটাও অনিয়ম আর ঝুঁকির।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিলিং স্টেশন ছাড়াই সম্পূর্ণ ঝঁকিপূর্ণ ভাবে টিনের চালার ঘর, মুদি দোকান ও অরক্ষিত ভূগর্ভস্থ ট্যাংকিতে পেট্রোল-অক্টেন রেখে বিক্রিবাট্টা চালাচ্ছেন চার মোটা বিনিয়োগের ব্যবসায়ী। প্লাস্টিকের জারেও রাখায় হয় পেট্রোল-অক্টেন। সম্প্রতি পার্শবর্তী উপজেলায় খোদ ফিলিং স্টেশনের মজুদ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় দৌলতপুরের এই এলোমেলো ব্যবসা নিয়ে উৎকণ্ঠায় সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী।