বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার রায়ে তার মা সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম আসামি অমিতের ফাঁসির রায় আশা করেছিলাম কেননা অমিত ঘটনাস্থলে না থাকলেও ফোনে এবং সব কিছুতেই তার সম্পৃক্ততা ছিল।মামলায় যাবজজ্জীবন কারাদণ্ডা প্রাপ্তদেরও ফাঁসির আওতায় আনতে হবে।
আবরারের মা আর বলেন,আদালত যে রায় দিয়েছে তাতে আমি এবং আমার পরিবার সন্তুষ্ট। তবে বাকি ৫ জনকে (যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা) ফাঁসির আদেশ না দেয়ার বিষয়টি আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারছি না। তিনি দ্রুত এই ফাঁসির রায় কার্যকরের পাশাপাশি বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান।
এসময় তিনি কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডস্থ বাসায়। মামলার রায় শুনতে ১২টার দিকে টিভির রুমে প্রবেশ করেন। রায় ঘোষণার সময় তাদের পাশে ছিলেন আবরারের চাচা, মামা, চাচী, মামী এবং খালতো ভাইসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা। রায় শুনে আবরারের মা সাংবাদিকদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে এসব কথা জানান।
আবরারের ছোট ভাই ফায়াজ বলেন, আমরা রায়ে খুশি তবে সকলের ফাঁসির আদেশ হলে আমরা আরো খুশি হতাম।আমরা বাকি ৫ জনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবো।