“আজ চার বছর হলো
তোমাকে ভেবে বড্ড খারাপ লাগছে
মন বড়ো বেশি কেমন করছে।
আকাশ ভেঙ্গে, মাটি ফুঁড়ে
সবকিছু মিলেমিশে এক হয়ে গেছে
চন্দ্র, সূর্য, প্রকৃতিকে সাক্ষি রেখে
তোমাকে গ্রহণ করেছি হৃদয়ের মাঝে।বছরের পর বছর, তোমার ঐ চোখে
আমি কাঁচের মতো জ্বলতে থাকি
শত শত বছর পরেও
তোমার আমার পথ, এক হবে।”
কঠিন আকুতি মেশানো নির্মল প্রত্যাশার এই পঙতিমালা বেতারের আবৃত্তিশিল্পী রেজওয়ানা হাবিব রিমার ‘অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি’ কাব্যগ্রন্থের অস্থির হৃদয় কবিতার অংশবিশেষ। এতেই বোঝা যায়, প্রখর ভাবাবেগের সাথে অব্যক্ত অথচ সাবলীলভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রেমময় কবিসত্ত্বা।
অমর একুশে বইমেলা ২০২২ এ প্রকাশিত হয়েছে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভূক্ত আবৃত্তিশিল্পী রেজওয়ানা হাবিব রিমার কবিতার বই ‘অন্ধকারের প্রতিচ্ছবি’। গ্রাফোসম্যান পাবলিকেশন্সের প্রকাশনায় বইটি মেলায় এসেছে বইমেলার নবম দিনে। পাওয়া যাচ্ছে গ্রাফোসম্যান পাবলিকেশন্সের স্টলে। স্টল নম্বর ৫৮২।
মোস্তাফিজ কারিগরের আঁকা প্রচ্ছদের বইটির প্রকাশক আব্দুর রউফ।
প্রকাশক আব্দুর রউফ বলেন, কবিতাগুলো মূলত লেখিকার বয়ানে বর্ণনাত্মক প্রকাশের সমাবেশে রচিত। কাব্যগুণের চেয়ে আত্মপ্রক্ষেপময় দৃষ্টিভঙ্গিতে বিধৃত। ভাষা ও শব্দে কবিকল্পনার সাদৃশ্য অনেকখানি ভাবালুতায় আচ্ছন্ন!
প্রকাশক বলেন, তবে ভাবপ্রকাশে অসামঞ্জস্যতা সত্ত্বেও কথন ভঙ্গিতে রচিত কিছু লেখায় উপমা ব্যবহারের চেষ্টা আশাপ্রদ। আর এটাই সাধারণ পাঠকদের ভালো লাগবে বলে মনে করি।
রেজওয়ানা হাবিব রিমার জন্ম ৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৭ রংপুরে। লায়লা বেগম-হাবিবুর রহমান দম্পতির জ্যেষ্ঠ মেয়ে।
বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত এই আবৃত্তিকারের শখ লেখালেখি, আবৃত্তি ও এনিমেশন। তার স্বামী রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও সংগঠক। শ্বশুরালয় কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তবে স্বামীসহ একমাত্র ছেলে সাদমান আন্ নাফি রিদমকে নিয়ে ঢাকায় সংসার করছেন।