সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪১ অপরাহ্ন

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে নন্দী পরিবারের বক্তব্য

কুষ্টিয়ার সময় প্রতিবেদক / ৬৮২ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: রবিবার, ২৫ জুলাই, ২০২১, ৫:২৬ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার সময়ে রবিবার (২৫ জুলাই) প্রধান ভিউতে খোকসায় ক‌রোনার ভ‌য়ে এ‌গি‌য়ে আ‌সে‌নি হিন্দুসমাজ, লাশ সৎকারে মুস‌লিমরা শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত। প্রকাশিত ওই সংবাদটি নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিরা কুষ্টিয়ার সময়ের ফেসবুকের পেজে তাদের বক্তব্য তুলে ধরে। এ ব্যাপারে তাঁর পরিবার বিষয়টি পরিষ্কার করে একটি বক্তব্য দিয়েছে।

তাঁর ভাতিজি মহুয়া ঘোষ বলেন, মূলত. একটি পক্ষ এসে দাবি করে- মুসলিম রীতিতে দাফন করার ওছিয়ত করে গেছেন নির্মল কুমার। কিন্তু এমন স্বীকৃতির কোনো প্রমাণ পাননি পরিবার। আর এটা নিয়েই লাশ সৎকারে বিলম্ব হচ্ছিল। পরে সুস্পষ্ট স্বাক্ষীর অভাবে জল্পনা-কল্পনার পর হিন্দু রীতি মেনেই বাড়ির আঙিনায় সমাহিত করা হয় তাকেঁ।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা ক্রীড়া অঙ্গণে তাঁর অবাধ বিচরণ থাকলেও জীবনের এক প্রান্তে এসে মুসলিম রীতি আয়ত্মে আনার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। এমন দাবি করেন কেউ কেউ। তবে ঝার-ফুঁক কবিরাজি চিকিৎসা তিনি করে থাকতেন। তিনি কখনো মসজিদেও যাননি। তবে পরিবারসহ মন্দিরে গেছেন বহুবার।

হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন দাবি করেন, আমি খোকসার হিন্দু সমাজের মানুষ হিসেবে বলছি খোকসায় করোনা আক্রান্ত মৃত কোনো হিন্দুর দাহ করার জন্য হিন্দু সমাজের মানুষ নিয়ে দল গঠন করা আছে। প্রতিনিয়ত খোকসা কালীবাড়ি মহাশ্মশানে করোনায় মৃত ব্যক্তির দাহ করা হচ্ছে।

সাইফুল আলম বলেন, খোকসার খুবই পরিচিত ও জনপ্রিয় মানুষ ছিলেন জনাব নন্দী। তাঁকে তার নিজ বাড়িতে মাটির নীচে সমাহিত করা হলেও হিন্দু রীতি অনুযায়ী তাঁকে শ্মশানে চিতায় পুড়িয়ে দেওয়ার কথা। আমার প্রশ্ন স্বর্গীয় নন্দী কি তাঁর লাশ মাটিতে সমাহিত করার জন্য বলে গিয়েছিলেন? যদি মাটিতে সমাহিত করার কথা বলে না যান তাহলে ঐভাবে সৎকার করা কি ঠিক হলো? আমার জানামতে খোকসার হিন্দু কমিউনিটির যারা আছেন তারা তো এমন অমানবিক হওয়ার কথা নয়। বিশেষ করে সুপ্রভাত মালাকার স্যারসহ আরও অনেকে আছেন। বিষয়টি আমার কাছে কেমন যেন অস্বাভাবিক মনে হচ্ছে।

তবে, লাশ সৎকারে দায়িত্ব পালন করা ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংস‌দের সাবেক অর্থ সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান মুস্তাক বলেন, লাশ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বিতণ্ডা চলছিল। কেউ অ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশও নামাতে চাচ্ছিল না। পরে যখন কেউ আগায়নি, আমরা পরিবারের সম্মতিতে মাটি খুড়ে আমরাই সমাহিত করি তাঁকে। তবে আমাদের সাথে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুজন সহযোগিতা করেছেন।

তিনি আরো বলেন, তাঁর সৎকারের বিষয়ে ৩ বার ৩ রকম সিদ্ধান্ত হয়। এটা নিয়ে অনেক ঝামেলা হয়। পরে যখন সমাধি করার সিদ্ধান্ত হয় তখন করোনার কথা শুনে ২ জন বাদে কাউকে পাওয়া যায়নি। আর এখানে পুরো হিন্দু সমাজ দায়ী হওয়ার কিছু নেই। একটি এলাকার কয়েকঘর হিন্দু পরিবার ব্যাপারটি চেপে গেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর