নিজ জন্ম ভিটায় হাজারো মানুষের ভালবাসায় সিক্ত হয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। শুক্রবার দুপুরে প্রধান বিচারপতি কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজ থেকে সড়ক যোগে জেলার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে যান। এই গ্রামেই জন্ম তার, বেড়ে ওঠা। কর্মজীবনে রাজধানীতে অবস্থান হলেও সময় পেলেই বিচারপতি হাসান ফয়েজ ছুটে যান তার প্রিয় গ্রামে। তাই গ্রামের মানুষের সাথে রয়েছে তার নিবিড় সর্ম্পক। সেটা তিনি বিভিন্ন সময়ে তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেছেন।
শুক্রবার সকালে নিজ গ্রামে পৌঁছালে সেখানে হাজারো মানুষ স্বাগত জানান দেশের এই কৃতি সন্তানকে। করোনার বিধি-নিষেধ ও প্রটোকলের বিষয় থাকায় মানুষের অনেক উচ্ছাস থাকলেও সেটি দেখাতে পারেনি তারা। তারপরও মানুষের আবেগ থামে থাকেনি। আর সেটি ছিল বাঁধ ভাঙা জোয়ারের মতো।
যারা তার এত কাছের মানুষ ছিল তারা একে একে আসতে থাকেন। শুভেচ্ছা-সালাম বিনিময় করেন সারা দিনভর। পুরো এলাকা থেকেই অসংখ্য মানুষ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, শুভাকঙ্খীরা উপস্থিত হন সেখানে। কেউ আসেন ফুল হাতে, কেউ আসেন ভালবাসার মৃদু সম্ভাষণ নিয়ে। সবাইকেই সমানভাবে বরণ করেন আপাদমস্তক সততা-নিষ্ঠা ও কর্তব্যপরায়ণ এই মানুষটি। কথনও নিজেই দুর থেকে কাউকে ডেকে নিয়েছেন, কখনও কারো নাম ধরে বলছেন ওমুক আসেনি, তমুক কোথায়, কাউকে নিজেই আবার খবর দিচ্ছেন তিনি এসেছেন।
এভাবেই চলে সারাদিন। কয়েক দফায় তিনি কথা বলেন সাধারণ মানুষের সাথে। গল্প করেন তার ছোট বেলার, শৈশব, কৈশরের। স্মরণ করেন তার পিতা-মাতাকে। তার পিতা মরহুম আব্দুল গফুর মোল্লা ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। দিনভর সাধারণ মানুষ প্রাণ ভরে দোয়া করেন তাদের একেবারে নিজেদের এই মানুষটিকে।