কুষ্টিয়া কুমারখালীতে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে বুঝে দেয়া হচ্ছে নতুন বই। বিগত বছর গুলোতে বছরের শেষের দিকেও বই পাওয়া নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এবার আগে ভাগেই নতুন বই বুঝে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে। মঙ্গলবার দিন ব্যাপী ভ্যান, অটোরিকশা সহ বিভিন্ন বাহনে বই নিয়ে গেছেন তারা। তবে করোনার কারনে এ বছরও বই উৎসব হচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দুদিন পর আসছে নতুন বছর। নতুন বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে নতুন বই হাতে পাবে কুমারখালীর প্রায় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। তবে করোনার কারনে এবার উৎসব বিহীন বই পাবে শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের চাহিদা অনুযায়ী এখনো সকল বই উপজেলায় আসেনি বলে জানা গেছে।
জানা যায় , উপজেলায় ১৪৭ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১২৭ টি কেজি স্কুল রয়েছে। ইতোমধ্যে শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে পৌঁছাতে শুরু করেছে নতুন বই। শিক্ষকরা দূর-দূরান্ত থেকে ভ্যান-অটো রিকসা নিয়ে এসে বই নিয়ে স্কুলে যাচ্ছেন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, ৫৮ হাজার শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হবে এবার । তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির আংশিক বই এখনো আসেনি।
এছাড়াও ৫৫ টি নিম্মমাধ্যমিক ও ২১ টি মাদ্রাসা গুলোতেও বই পৌঁছে গেছে। তবে এই বিদ্যালয় গুলোতেও চাহিদা মোতাবেক বই এখনো উপজেলায় আসেনি। করোনা ভাইরাসের কারণে স্ব-স্ব বিদ্যালয় নির্দিষ্ট সময় মেনে মাস্ক ও নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থী কিংবা অভিভাবকগণের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে। নতুন বই হাতে নিয়ে শিক্ষার্থীরা হাসিমুখে বাড়ি ফিরবে সেদিন।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মুস্তাফিজুর রহমান জানান, করোনার কারণে এবারে বই উৎসব হচ্ছে না। এছাড়া আংশিক বই এখনো আসেনি। তবে সহায়ক সকল বই পৌঁছে গেছে।
উপজেলা সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল আলম বলেন, এবার মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৩০ হাজার বিনামূল্যে নতুন বই বিতরণ করা হবে।