রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

দ্বিতীয় পদ্মাসেতু নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে খোকসার রেজোয়ানুল হকের প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১২৮ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: বুধবার, ২২ জুন, ২০২২, ৫:১৫ অপরাহ্ন

‘১৬টি জেলার মানুষ আরও বেশি উপকৃত হবে যদি পদ্মা সেতু-২ নামে আরেকটি সেতু নির্মাণ হয় এবং সরকারের প্রতিশ্রুতিও ছিল’—এ ব্যাপারে সরকারের ভাবনা জানতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে প্রশ্ন করেন কুষ্টিয়া সাংবাদিক ফোরাম ঢাকার সভাপতি ও মাছরাঙা টিভির বার্তাপ্রধান রেজোয়ানুল হক রাজা।

প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আয়োজন থাকলেও এই মুহূর্তে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে সেতু নির্মাণ হচ্ছে না। বুধবার (২২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ইঙ্গিত দিলেন সরকার প্রধান।

মাওয়া-জাজিরার পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এতবড় একটা খরচ করেছি, আগে সেটার টাকা উঠুক। তারপর ওটা করবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা সরকারে আসার পর বিভিন্ন সেতু নির্মাণ করে সারা দেশটাকেই সংযোগ করেছি। যে পদ্মা সেতুটি তৈরি করলাম, এটা চালু হওয়ার পর দ্বিতীয়টার জন্য আমাদের মোটামুটি আয়োজন আছে, তবুও আগে দেখতে হবে—এটার প্রয়োজনীয়তাটা কতটুকু। সেটা বিবেচনা করে এটা করা হবে। কাজেই এখনই এতবড় একটা কাজ শেষ করে আবার আরেকটা শুরু করতে পারবো না।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘আগে আরিচা থেকে ফেরি যেতো দৌলতদিয়ায়। পাটুরিয়ার যে জায়গাটা আমরা ড্রেজিংয়ের পলি-বালি ফেলে ভরাট করি। আমাদের সরকার পরে আরিচা থেকে পাটুরিয়া ৭ কি. মি. রাস্তা নির্মাণ করে। যাতে ফেরির সময়টা কমে আসে। যদিও উদ্বোধন করে যেতে পরিনি।’

তিনি বলেন, ‘ওই জায়গাও খুব বড় নয়। কাজেই সেতুও বড় হবে না। ভবিষ্যতে যখন প্রয়োজন মনে করবো, তখন করবো। আর আমি আগেই বলেছি, কোনও প্রকল্প নেওয়ার আগে সেখান থেকে আমাদের রিটার্ন কী আসবে সেটা দেখতে হবে। এটা দেখে আমরা করবো। সেটা আমাদের মাথায় আছে। এখানে হয়তো সেতু করতে হতে পারে, করবো। সেটা আমরা তখন উদ্যোগ নেবো।’

মাওয়া-জাজিরার পদ্মা সেতু নির্মাণের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আপনাদের হিসাব করা উচিত, দৌলতদিয়া থেকে রাজবাড়ী মোড় পর্যন্ত ৩০-৩৫ কিলোমিটারের মতো যেতে হয়। আর রাজবাড়ী মোড় থেকে কামার খান ব্রিজ হয়ে কুষ্টিয়া যেতে পারেন। পাংশা থেকে কুমারখালী পর্যন্ত যাওয়ার জন্য আমরা ব্রিজ করে দিয়েছি। আমরা অনেক দিক থেকেই যোগাযোগের ব্যবস্থা করেছি। এখানে কতটুকু রিটার্ন আসবে, কী আসবে, কতটুকু উন্নতি হবে সেটা আমরা দেখবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে আমরা যেমন ধরলা ব্রিজ করে দিয়েছি। আবার কুড়িগ্রামের সঙ্গে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে যাওয়ার ব্রিজ করে দিয়েছি। লালমনিরহাটের রংপুরের গঙ্গাচড়া ব্রিজ করে দেওয়া হয়েছে। ডোমারের সঙ্গে পঞ্চগড়ে যাওয়ার ব্রিজ। উত্তরবঙ্গে অনেকগুলো ব্রিজ করেছি। লালমনিরহাট, কুমিড়গ্রাম, রংপুর, নীলফামারী সমস্ত জায়গায় ব্রিজের মাধ্যমে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক আমরা করে দিয়েছি। যেখানে যেখানে প্রয়োজন আমরা করে দিচ্ছি। আর দক্ষিণে দোয়ারিকা, শিকারপুর, গাবখান থেকে শুরু করে পায়রায় ব্রিজ করছি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর