রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুর সমাজ সেবায়,মিলছে হারিয়ে যাওয়া টাকার সন্ধান

রাকিব হাসান, কুষ্টিয়া / ১৯৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শুক্রবার, ৮ অক্টোবর, ২০২১, ৬:২১ অপরাহ্ন

 

গত এক মাস ধরে দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিস নিয়ে ঘটে গেছে তুলকালাম কান্ড সমাজ সেবার আওতাধীন ভাতাভুগীদের টাকার সন্ধানে।

মিলেছে অনেক অভিযোগ ভাতার টাকা কোথায় গেলো কে পেলো আর কে পেলোনা সব মিলিয়ে টাকা না পাওয়া ভাতাভুগীদের অবস্থান ছিলো দৌলতপুর সামাজ সেবা অফিসে চোখে পড়ার মতো এবং তা এক পর্যায়ে রুপ নেয় আন্দোলন ও অনশনে মতো কঠোর পদক্ষেপে।

এমন অবস্থায় ভাতাভুগীদের টাকার সন্ধানে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে দৌলতপুর সমাজ সেবায় কর্মরত প্রধান কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা,টাকার সন্ধান এনে দিতে নেয় কয়েক দফা সময়। পরিদর্শনে আসে কুষ্টিয়া জেলা সমাজ সেবায় কর্মরত প্রধানরাও।

 

এর আগে সামাজ সেবার আওতাধীন বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ব্যাংকের মাধ্যমে দেয়া হলেও এখন তা মোবাইল ব্যাংকিং নগদের মাধ্যেমে দেওয়া হচ্ছে যার ফলে ভাতাভুগীদের ভাতার টাকা পৌঁছে যাচ্ছে একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নাম্বারে।

আর এমন অবস্থায় অনেক ভাতাভুগীদের নিজস্ব কোন মোবাইল না থাকায় পার্শ্ববর্তী আত্মীয়-স্বজন ভাই ভাতিজা ও ছেলের মোবাইল নাম্বার অনেকেই দিয়েছে ভাতার কার্ড এম আই এস করার সময়।

আর এম আই এস কৃত এসকল মোবাইল ও মোবাইল নাম্বার ভাতাভুগীদের কাছে না থাকায় ভাতার টাকা সে সকল নাম্বারে চলে গেলেও জানতে পারেনি প্রকৃত ভাতাভুগীরা তাদের টাকা চলে এসেছে।

গত মাসের ০৭/০৯/২০২১ তারিখে ভাতার টাকা না পাওয়ার প্রতিবাদে একই ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী গর্ভপতী মহিলা,বিধবা ও বয়স্ক সহ ৩৪ জন ভাতাভুগী দৌলতপুর সমাজ সেবা অফিসে সকাল থেকে অবস্থান করে এবং পরবর্তীতে তা অনশনে রুপ নেয়।

ভাতাভুগীদের দাবী ছিলো তাদের টাকা কোথায় গেছে কে পেয়েছে এসকল সন্ধানের।

ভাতাভুগীদের এমন দাবীতে সামাজসেবায় এম আই এস কৃত যে সকল মোবাইল নাম্বারে টাকা চলে গিয়েছে সে সকল মোবাইল নাম্বার কার এমন অনুসন্ধান চালাই দৌলতপুর সামাজ সেবা সহ স্থানিয় প্রশাসন।

অনুসন্ধানে ৩৪ জন অনশন কারী ভাতাভুগীদের টাকার সন্ধান মেলে।

তেমনি এক ভাতাভুগী নিশা (হারান আলী)।

ভাতাভুগী নিশা মোবাইল ব্যাংকিং নগদের একটি নাম্বার দেয় এম আই এস করার জন্য যে মোবাইল নাম্বার টা ছিলো তার ভাই লালনের, দুই বারের টাকা উত্তলন করা হলেও জানতে পারেনি ভাতাভুগী নিশা।

ভাতাভুগী গন্জেরা খাতুন, তার নাতি মাহফুজ দুই বারের টাকা আল্লার দর্গা নগদের একটি এজেন্ট থেকে তুলে নেয় তাও জানতে পারেনি ভাতাভুগী।

ভাতাভুগী আ: সাত্তার আলী তার ছেলে সেন্টু ভাতার টাকা তুলে নেওয়া পরেও সে জানতে পারেনি তার জন্য বরাদ্দ কৃত প্রধান মন্ত্রীর উপহার তার ছেলে তুলে নিয়ছে।

 

এ বিষয়ে দৌলতপুর সমাজসেবার প্রধান কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, সমাজ সেবার মাধ্যমে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর ভালোবাসার উপহার বয়স্ক,প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতার টাকা সঠিক ভাবে যেন প্রকৃত ভাতাভুগীরা পাই আমরা সে লক্ষে কাজ করছি।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর