কুাষ্টিয়ার দৌলতপুরে ৫ বৎসরের শিশু কন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে, জানাযায় গতো ২৫/০৭/২০২১ তারিখ সকাল ১১ টার দিকে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের খরিবোনা এলাকার বাসিন্দা তাহের আলীর ছেলে রাকিবুল (১৫) এ ধর্ষণ চেষ্টা করে, একই এলাকার প্রতিবেশী মো: শাজাহান আলীর (প্রবাসী) বড় মেয়ে (৫ বৎসরের নাবালিকা) সপ্তসীকে।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী প্রতিবেদক জানতে পারে যে, রাকিবুল শিশু কন্যা সপ্তসীকে কার্টুন দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে সপ্তসী ও সপ্তসীর ছোট বোন শোভাকে তার নিজ বাড়ির শয়ন কক্ষে নিয়ে যায়।
শয়ন কক্ষে নিয়ে যাওয়ার এক পর্যায়ে রাকিবুল সপ্তসীর ছোট বোন শোভার হাতে একটি লেবু কেটে খাওয়ার জন্য দেয় এবং সপ্তসীকে তার খাটের উপর শোয়াইয়া ধর্ষণ করার চেষ্টা করে।
এমন অবস্থায় সপ্তসী ও তার ছোট বোন শোভা চিৎকার চেঁচামিচি করলে অন্যান্য প্রতিবেশীরা ছুটে আসলে সপ্তসীকে রেখে রাকিবুল পালিয়ে যায়।
পরে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানিয় মেম্বর সহ বেশ কিছু গণ্যমান্য ব্যাক্তি শালিসী মিমাংসার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানে আনার চেষ্টা করে।
এবং অর্থের প্রলোভন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রশাসনকে জানাতে নিষেধ করে।
এ ব্যাপারে প্রতিবেদক অনুসন্ধানে গেলে একপর্যায়ে দেখা হয় রাকিবুলের মায়ের সাথে, প্রতিবেদক ধর্ষণ চেষ্টার ব্যাপারে জানতে চাইলে রাকিবুলের মা জানান, ঘটনা সত্য এবং ঘটনার পর পরেই আমি নিজেই সপ্তসীকে গ্রাম্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় এবং খাওয়ার জন্য ব্যাথা নাশক ঔসধ কিনে দেই, পরে সপ্তসীর মায়ের পা ধরে ক্ষমাও চাই। রাকিবুল কোথায় আছে এমন প্রশ্নের জবাবে তার মা জানাই বোনের বাড়িতে বেড়াতে গেছে।
এ বিষয়ে সপ্তসীর মা মোছাঃ আকলিমা খাতুন জানান,আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায় হয়েছে আমি তার সঠিক বিচার চাই।
আজ ০৬/০৯/২০২১ তারিখ সন্ধায় সপ্তসীর মা মোঃ আকলিমা খাতুন বাদি হয়ে দৌলতপুর থানায় রাকিবুলকে প্রধান আসামী করে একটি লিখিত এজাহার জমা দেয়।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইন্চার্জ মোঃ নাসির উদ্দিনের সাথে প্রতিবেদক তার মুঠো ফোনে কল দিয়ে কথা বললে তিনি জানান, এজাহার সম্পর্কে আমি এখনো কিছুই জানেনা।