বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:০৬ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুরে সড়কের কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার

মানজারুল ইসলাম খোকন (দৌলতপুর) / ১৫৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: রবিবার, ২৩ জুলাই, ২০২৩, ৯:৫৩ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার কল্যানপুর থেকে গাইনপাড়া পর্যন্ত গত দুই বছর আগে টেন্ডার হওয়া প্রায় ২ কি:মি (২২২৮মিঃ) সড়ক পাকা করনে গড়িমশি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। ঠিকাদার রাস্তার মাটি কেটে বালি ফিলিং করে পালিয়েছে দেড় বছর আগে। ঠিকাদার বলছে দ্রব্যমুল্যের উর্ধগতির কারনে কাজ করা সম্ভব হয়নি তবে কিছুদিনের মধ্যে কাজ শুরু করবে বলে জানান।

সড়কের কাজটি বালি ফিলিং করেই গত দেড় বছর লাপাত্তা ঠিকাদার। এতেই অল্প বৃষ্টি হলেই পানি জমে খালে পরিণত হয় রাস্তাটি। বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী প্রায় ২ কিঃমিঃ রাস্তাটি এখন কাদামাটিতে লেপটে আছে। এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে একাধিক বার উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস সহ ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগ করে কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান স্থানীয়রা।

দৌলতপুর এলজিইডি অফিসের প্রকৌশলী মো: রাকিব হোসেন দায় স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে একাধিক বার বসা এবং নোটিশ করা হয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগের ভিত্তিতে আমি সেখানে গিয়ে দেখি এখন বর্ষায় রাস্তায় পানি জমে আছে, রাস্তাটি এখন খালে পরিনত হয়েছে, যা অল্প বৃষ্টির পানিতে হাটু পানি জমে থাকে তাতে এলাকাবাসির চরম দুর্ভোগে পরিনত হয়েছে। বাজেটের তুলনায় জিনিস পত্রের দাম বেশি হওয়ার কারণ দেখিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধীকার সাদিকুজ্জামান খান সুমন, রাস্তায় বালি ফিলিং করে প্রায় দেড় বছর ফেলে রেখেছেন। তবে অচিরেই রাস্তার কাজটি শুরু করবেন বলে তাকে ঠিকাদার জানিয়েছে।

ঠিকাদার সাদিকুজ্জামান খান সুমন জানান, টেন্ডার চুক্তি মূল্যের তুলনায় প্রতিটা জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কাজ শেষ করে তুলতে লোকসানের পরিমাণটা বেশি গুনতে হচ্ছে, তাই কাজ করা সম্ভব হয়নি। তবে অচিরেই কাজ শুরু করার কথা জানান এই ঠিকাদার।

বর্ষায় হাটু পানি আর কাঁদা মাখা রাস্তার বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতে অচিরেই রাস্তার কাজ শেষ করার দাবি এলাকাবাসির।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর