শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৮ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে রাতেই ধর্ষককে ছেড়ে দিলো পুলিশ- সমালোচনার ঝড়ে পরেদিন দুপুরে ধর্ষক আটক

মানজারুল ইসলাম খোকন / ৪৭৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২০, ৫:৪২ অপরাহ্ন
জোর করে ধর্ষন- প্রতীক ছবি
জোর করে ধর্ষন- প্রতীক ছবি

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে সোমবার দিবাগত রাতে ধর্মদহ গ্রামে দুই সন্তানের জননিকে জোর করে ধর্ষনের অভিযোগ হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, আমরা রাতে গান শুনে বাড়ী ফিরার পথে ধর্মদহ মাধ‌্যমিক বিদ‌্যালয়ের পাশে আনে খাতুনের বাড়ীর কাছে পৌছালে, বাড়ীর ভিতর থেকে মহিলা মানুষের আত্মচিৎকার শুনতে পাই। এমতাবস্থায় আমরা টর্সলাইট জ্বালালে আনের বাড়ির ভিতর থেকে ধর্মদহ গ্রামের চমৎকারের ছেলে রুস্তুম দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমরা চিৎকার করে ডাকাডাকি করলে এলাকাবাসী চলে আসে। এমতাবস্থায় দুই সন্তানের জননি তার পিতার কাছে কাদতে কাদতে সকলের সম্মুখে বলেন আমাকে রুস্তুম ধর্ষন করেছে।

ধর্ষিতার পিতা কুষ্টিয়ার সময়কে জানান, তৎক্ষণাৎ আমরা তেকালা পুলিশ ক্যাম্পে ফোন দেই, এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মহিলা মেম্বারকে জানানো হয় পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির উপস্থিতে ধর্ষিতা মেয়েটি সবকিছু খুলে বলেন।

এ বিষয়ে মহিলা মেম্বার আমবিয়া খাতুন কুষ্টিয়ার সময়কে জানান, ঘটনাটি ঘটার পর রাত অনুমানিক ১২ টার পরে আমি ঘটনা স্থানে পৌঁছায় , পৌঁছে দেখি অনেক মানুষ সেখানে এবং তেকালা পুলিশ ক্যাম্প আই সি ও উপস্থিত ছিলেন, সকলের উপস্থিতে মেয়েটা ধর্ষণের বর্ননা দেন। কিন্তু অভিযুক্ত রুস্তোম ঘটনা অস্বীকার করেন। পুলিশ ও আমরা ঘটনা স্থান থেকে চলে আসি। অসহায় মেয়েটি মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) সকালে আমার কাছে আসেন আইনি সেবার জন্য আমি তাদেরকে চেয়ারম্যান এর কাছে যেতে বলি।

এ বিষয়ে সচেতন এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে কুষ্টিয়ার সময়কে বলেন, মেয়েটি যেখানে সরাসরি বলছে আমাকে ধর্ষণ করেছে রুস্তোম এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা যখন রুস্তোমকে ঘটনা স্থান থেকে পালাতে দেখেছে তখন ধর্ষনের মত ঘটনায় ভিকটিম ও আসামীকে এক সাথে পেয়েও তাদের আইনের আওতায় না নিয়ে রেখে যাওয়া কতটুকু যোক্তিক আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা সাধারন মানুষ আমাদের তো আইনের সবটুকু জানা নাই তাই আমরা দেখে চুপ থেকে গেছি।

এ বিষয়ে তেকালা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ফোসিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কুষ্টিয়ার সময়কে বলেন, ঘটনা অস্বীকার করেন তিনি বলেন, আমার উপর থানায় থেকে যে আদেশ এসেছে সেটাই পালন করেছি তার বাহিরে কিছু না।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানা ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত নিশিকান্ত সরকার কুষ্টিয়ার সময়কে জানান, মঙ্গলবার থানায় একটি ধর্ষেন বিষয়ে অভিযোগ হলে সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। তবে রাতে তেকালা পুলিশ ক্যাম্প থেকে আমাকে কোন তধ্য দেওয়া হয় নাই। আমি রাত দুইটার পরে অঠিস থেকে গেছি। রাতে আমাকে জানলে আমি সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহন করতাম।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর