শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৬ অপরাহ্ন

দৌলতপুরে বালুদস্যুদের কাছে অসহায় খোদ ইউএনও!

মানজারুল ইসলাম খোকন / ৫২৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১, ১:৫১ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে শুধুমাত্র প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা আর তদারকির অভাবে ৮ মহাল থেকে নিয়মিত বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। অভিযোগ এলাকাবাসীর। আর এ সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় খোদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার। চাইলেন রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ।

স্থানীয়রা জানান, নদীর ভাঙ্গন রোধে নির্মিত স্থায়ী বাঁধের পাড় ঘেষে অবৈধভাবে কাটা হচ্ছে বালু। এতে হুমকির মুখে পড়তে যাচ্ছে শতকোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ব্লকের স্থায়ী বাঁধ। উপজেলার মরিচা ইউনিয়নে বৈরাগীরচর বাজারের নিচে নদীর মাঝে বাঁধ দিয়ে নদীর স্বাভাবিক গতিকে বাধাগ্রস্ত করে কোলদিয়াড় গ্রামে মজনুর ভাটার নিচে দুটি স্থানে নদী পাড় কাটা হচ্ছে।

এছাড়াও ফিলিপনগর ইউনিয়নের ইসলামপুরে স্থায়ী বাঁধ সংলগ্ন এলাকা, রামকৃষ্ণ পুর এলাকার কেডি এস স্কুলের নিচে, দুটি স্থানে অবাধে কাটা হচ্ছে বালু।

পদ্মা নদীর পাড় ও বাঁধ ঘেঁষে বালি কাটার ফলে প্রতিবছরই পদ্মা নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত থাকে। গত বর্ষা ও বন্যা মৌসুমেও পদ্মার ভাঙ্গনে শত শত বিঘা ফসলি জমি বিলীন হয়েছে। ভুরকা এলাকায় পদ্মা নদী থেকে মাত্র কয়েক’শ গজ দূরে রয়েছে ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের বিদ্যুতের খুঁটি। এটিও হুমকির মুখে।

পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে বালু কাটার বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে আমরা নিয়মিত অভিযান করে আসছি। কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে সমাধান না করলে শুধু প্রশাসন দিয়ে সম্ভব না। আর এভাবে বালু উত্তোলন হতে থাকলে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ১১২ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে ব্লক দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তবে এভাবে বালু কাটা অব্যাহত থাকলে পদ্মার ভাঙ্গনে এ বাঁধেও ধস নামার শঙ্কা রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি রনি মাস্টারসহ প্রভাশালী টুয়েল, জাহিদ, রনি, বাবুর নেতৃত্বে কাটা হচ্ছে বালু। বালু কাটা বন্ধে প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর