কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গত দু’দিনে ভূপৃষ্ঠ কেটে বিক্রি সংক্রান্ত অপরাধে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে পাঁচ ব্যক্তিকে। মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির মহোৎসব বন্ধে মাঠে নেমেছেন দৌলতপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীদুল ইসলাম; তাঁর নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত উপজেলাটির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ২২ জানুয়ারি কোলদিয়াড় এলাকায় একজন এবং ২৩ জানুয়ারি বাহিরমাদী এলাকায় চার জনকে কারাগারে প্রেরণ করেছে। তবুও বন্ধ হয়নি উপজেলাটিতে ভূপৃষ্ঠ কেটে বিক্রি হওয়া।
সম্প্রতি স্থানীয় এবং জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে দৌলতপুরে কোথাও সড়কের পাশে মাইলের পর মাইল, কোথাও সরকারি খাল, কোথাও ফসলের মাঠের পৃষ্ঠ কেটে ইট ভাটায় বিক্রির তথ্য জানিয়ে মোটা দাগে খবর প্রকাশিত হয়। এরপর এবিষয়ে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।
সরকারি (ভরাট প্রায়) খাল কেটে বিক্রি এবং সড়কের পাশে কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রির ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হলে অপরাধীদের যাদের পাওয়া গেছে তাদের বিভিন্ন মেয়াদের জন্য কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে উপজেলার সবচে’ বড় পরিসরে মাটি কাটার কর্মযজ্ঞ নির্বিঘ্নে চলছে আড়িয়া ফসলের মাঠের মাঝখানে। ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে কেটে নেয়া মাটি শ্যালো চালিত গাড়ি ও ড্রাম ট্রাকে পরিবহনের জন্য ফসলের মাঠের মধ্যদিয়ে করা হয়েছে মাটির সড়কও। অন্তত মাস খানেকের বেশি সময় ধরে দিন-রাত সবসময় মাটি কাটা চললেও গত কয়েকদিন এখানে মাটি কাটা হয় সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত। তথ্য রয়েছে আড়িয়া মাঠের ভূপৃষ্ঠ কেটে দিনে অন্তত দুশোরও বেশি গাড়ি মাটি বিক্রি করা হয় বিভিন্ন ইটের ভাটায়। ভেকু মেশিন প্রকাশ্য দিনেই রাখা হয় মাঠে।
এছাড়াও, দৌলতপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভূপৃষ্ঠ কেটে বিক্রি হচ্ছে ছোটো বড় নানা পরিসরে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: শাহীদুল ইসলাম জানান, বালু মহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে টপ সয়েল বা ভূপৃষ্ঠ কাটার নিষেধাজ্ঞা আছে। এটা অপরাধ, আমরা মাঠ পর্যায়ে প্রতিনিয়ত কাজ করছি।
এ-সময় অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও হুশিয়ারি দেন এসিল্যান্ড শাহীদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, আয়তনে অন্যান্য উপজেলার চেয়ে বড় দৌলতপুরের কৃষি জমির মাটি প্রতি মৌসুমে কেটে বিক্রি হয় দৌলতপুরসহ আশপাশের উপজেলার ইটের ভাটায়।