হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলাচাষ প্রবর্তনের ফলে তুলার ফলন বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুরে। সেই সঙ্গে তুলার বাজার মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় চাষীদের তুলা এখন একটি লাভজনক ফসল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। তুলা চাষ বাড়াতে চাষীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি উন্নত জাতের বীজ ন্যায্যমুল্যে সরবরাহ করে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে বলছেন কর্মকর্তারা।
দৌলতপুর উপজেলাতেই ২ হাজার ১ শত হেক্টর জমিতে তুলাচাষ হয়েছে। এবছরে তুলার প্রতিকুল আবহাওয়ার কারনে ফুল-ফল অতিরিক্ত মাত্রায় ঝরে যাওয়ার কারনে তেমন সুবিধা করতে পারবেনা বলে জানান চাষিরা। উপজেলার প্রাগপুর গ্রামের তুলাচাষি খোকন বলেন গত বছরের তুলনায় এ বছরে আগামচাষিরা লোকশানের আশঙ্কা করছে, দোষাচ্ছে অতিরিক্ত বাড়তি খরচ ও বৈরী আবহাওয়াকে।
উপজেলার ধর্মদহ গ্রামের তুলা চাষি রেজাউল ইসলাম জনান প্রতিবিঘা জমিতে প্রায় ১০-১২ টাকা খরচ হচ্ছে এবং ফলন হবে ৮-১০ মন তুলা। ৮-৯ মাসের ফসলে যা বর্তমান বাজার মুল্যে ভালো লাভ হবেনা। এবছরে মিল মালিকরা এ গ্রেডের তুলা ৩ হাজার ৮ শত টাকা ও বি গ্রেডের তুলা ৩ হাজার ৪ শত টাকা দামে কিনছে। আগামীতে লোকশান কমাতে প্রতিমন তুলা ৪ হাজার ২শ- ৪ হাজার ৫ শ টাকা নির্ধারন করার দাবি জানান কৃষকেরা।
আল মদিনা ইন্ডাস্ট্রির মালিক গোলাম সাবির জানান , আন্তর্জাতিক বাজার সমন্নয় করে তুলার ময়েশচার ১-১৪ হলে এ গ্রেড ও ১৫-১৮ ময়েশচার বি গ্রেড করে দাম নির্ধারন করা হয়েছে। এবছরে তুলা ক্রয় করা হচ্ছে এ গ্রেড প্রতি মন ৩ হাজার ৮ শত এবং বি গ্রেড ৩ হাজার ৪ শত টাকা করে ক্রয় করছি তবে গুটি যুক্ত তুলা ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
কুষ্টিয়ার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ আল মামুন বলেন, ‘গত মৌসুমের তুলনায় এবার তুলার চাষ বেড়েছে। আগামী মৌসুমে প্রণোদনার ব্যবস্থা করব চাষিদের জন্য। প্রতিনিয়ত চাষিদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলায় ২ হাজার ১শত হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। এবছরে বৈরী আবহাওয়ার কারনে চাষিরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ তাছাড়া চাষীদের প্রশিক্ষনের পাশাপাশি বীজ নির্ধারন, বীজতলা রোগমুক্ত রাখতে চাষীদের সঙ্গে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখেন বলে জানান এই কর্মকর্তা।
হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল তুলা চাষে আগ্রহী কৃষকরা ন্যায্য দাম পেলে আগামী বছরে তুলাচাষির সংখ্যা বাড়বে বলে জানান জেলার তুলা চাষিরা।