কুষ্টিয়ার সময়সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোটা দাগে খবর প্রকাশিত হওয়ার পরেও বাস্তবতায় চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি পাওয়া গেলেও কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এখনও চলছে অবৈধভাবে পেট্রোল-ডিজেলের মতো জ্বালানী তেলের ঝুঁকিপূর্ণ মজুদ ও অবাধ বিক্রয়।
দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর,হোসেনাবাদ ও দৌলতপুর আঁখ সেন্টার মোড় এলাকার চার ব্যবসায়ী হাচিবুর, রিপেল, আতাউর, মজনুর টিনের ঘর, মুদি দোকান, ভূগর্ভস্থ ট্যাংকিতে, ব্যারেল ও প্লাস্টিকের জারে এলোমেলো বৈদ্যুতিক সংযোগের মধ্যেই চলছে ঝুঁকিপূর্ণ মজুদ ও বিক্রয়। পূর্বে প্রকাশিত খবরে এ প্রসঙ্গে উদ্বেগ জানিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেন দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও খুলনা বিভাগীয় বিস্ফোরক কর্মকর্তা। এরপর কেবল আঁখ সেন্টার মোড়ের ব্যবসায়ী মজনুকে সতর্ক করেছে উপজেলা প্রশাসন। এর আগে গেলো ১৩ সেপ্টেম্বর মজনুর দোকানে নিয়মবহির্ভূত ভাবে সাপ্লাই দিতে আসা সিরাজগঞ্জ জেলার একটি তেলের গাড়িকে জরিমানা করে ছেড়ে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা যায় এরপরও সপ্তাহে অন্তত ৪ গাড়ি অর্থাৎ প্রায় ২০ হাজার লিটার পেট্রোল-অক্টেন-ডিজেল ঢুকছে দৌলতপুরে, যা মজুদ রেখে নিয়মিত বিক্রয় করছেন ওই চার মজুদদার। এসব জ্বালানীর অন্তত ৬০ ভাগই পেট্রোল এবং অক্টেন। সাধারণত রাত ৮ টা থেকে ১ টার মধ্যে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার মতো বিভিন্ন নামীদামী ব্যাবসায়ী ব্র্যান্ডের লোগো সম্বলিত ফিটনেসবিহীন গাড়িতে তেল আনানেওয়া করেন ওই চার ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিয়মের মজুদদার।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে, কয়েকটি ফিলিং স্টেশনের তেল এসব গাড়িতে করে নিয়মবহির্ভূত ভাবে ঢুকছে দৌলতপুরে। যেসব তেল মূলত ওইসকল ফিলিং স্টেশনেই রেখে সাধারণ গ্রাহক ও অনুমোদিতদের কাছে বিক্রয় করার কথা। সম্প্রতি এমন তেলবাহী গাড়ির দেখা মিলে কুষ্টিয়া ঢ-৪১-০০২৪ এবং ঝিনাইদহ ঢ-৪১-০০১৪ -এর।
অনুসন্ধানে জানা যায় বরাবরের মতো ব্যবসা সচল রাখতে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরের বারান্দায় দৌড়ঝাঁপ করছেন দৌতপুরের ওই চার ব্যবসায়ী। তবে, ঝুকিপূর্ণ পেট্রোল-অক্টেন প্রসঙ্গে উৎকণ্ঠায় এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় খোদ একটি ফিলিং স্টেশনে মজুদ বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ৫ জন নিহতের খবর দেশব্যাপী আলোচিত।
বিষয়টি প্রসঙ্গে শিগগিরই দৌলতপুর উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট উর্ধতনরা যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন বলে আশায় বুক বেঁধেছে স্থানীয় সচেতন সমাজ।