কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের চামনা গ্রাম থেকে কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী মকবুল কে গ্রেফতার করে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার বেলা ৩ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এস.আই শাহাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অভিযান চালিয়ে কুক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী সিমান্ত এলাকার ত্রাস মহিষকুন্ডি কাষ্টম মোড় এরাকার আব্দুল আজিজের ছেলে মকবুল (৪৫) কে ৪০০ গ্রাম গাঁজা ও ১টি হিরো হোন্ডা মটর সাইকেল সহ আল্লারদর্গা চামনা এলাকা থেকে গ্রেফতার হয় ।
মকবুল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও মূলহোতারা এখনো রয়ে গেছে ধরাছোঁয়ার বাইরে, এমনটাই জানালেন এলাকায় বসবাসরত সাধারণ জনগন।
এলাকা ঘুরে জানাযায় কাষ্টম মোড়ের মাদক সম্রাট মৃত ফয়েজ মাস্টার ছেলে ফিরোজ এর শ্যালোক
ও মৃত লুকমানের ছেলে গিয়াসের আপন মামা শ্বশুর মকবুল, আর এই দুইজনের মাদক নিয়মিত বহন করে থাকে গ্রেফতার হওয়া মকবুল।
এলাকাবাসী আরো জানান, গিয়াস ও ফিরোজ দুইজনই নিয়মিত মাদক ব্যাবসায়ী। তাদের
মাঠে কোন জমি জায়গা ও বৈধ কোন ব্যাবসা বানিজ্য না থাকলেও গিয়াস ও ফিরোজের রয়েছে ভাগযোত এলাকার কাস্টম মোড়ে বিলাসবহুল বাড়ি, সহ এখন তারা ঐ এলাকায় অবৈধ টাকার গরমে বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে, এলাকাবাসীর প্রশ্ন তাদের এ টাকার উৎস কি? তা আমরা জানতে চাই।
এলাকাবাসী আরো জানান, গিয়াস বিজিবির হাতে অবৈধ মাদকের ১২ লক্ষ টাকা নিয়ে ধরা পড়েছিলো।এবং ফিরোজের বাড়ির ভিতরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে তার ঘরের মেঝেতে সুড়ঙ্গ করে মাদক সংরক্ষণ করে রাখার জন্য গ্রেফতার হয়।
এরা এখনো তাদের মাদক ব্যাবসা চালিয়ে যাচ্ছে আগের মতোই, শুধু পালটেছে তাদের কৌশলগত দিক।
এবিষয়ে রামকৃষ্ণ পুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজ মন্ডল বলেন, আমি গতকাল জানতে পারলাম যে কাষ্টম মোড়ের মৃত ফয়েজ মাস্টারের ছেলে ফিরোজ এর শ্যালোক
ও মৃত লুকমানের ছেলে গিয়াসের আপন মামা শ্বশুর মকবুল গাঁজা সহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এরা মাদকের সাথে কি ভাবে যে জড়িয়ে পড়লো আমার বুঝে আসে না, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে একাধিকবার ধরা পড়ার পরেও সেই পথ থেকে তারা কেন ঘুরে আসছে না এটাই এখন আমাদের কাছে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে,তার পরেও তাদের জীবনের সার্বিক মঙ্গল কামনা করে বলতে হয় এসকল অবৈধ ব্যাবসা ছেড়ে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসুক, এটাই আমাদের চাওয়া।