কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশিদ বাবলুর আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে এ আপত্তিকর ও অশ্লীল এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকে দৌলতপুরে আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিওতে দেখা গেছে, দৌলতপুর উপজেলার রিফাইতপুর ইউনিয়নের ঝাউদিয়া এলাকার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও দৌলতপুর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও পূনরয় রিফাইতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আব্দুর রশীদ বাবলু (৬৫) একটি কক্ষে ১৫-১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের সাথে যৌনলীলায় মত্ত রয়েছেন।
ওই কক্ষের জানালা দিয়ে কেউ আওয়ামী লীগ নেতার আপত্তিকর ও অশ্লীল কর্মকান্ডের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা মুহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। দৌলতপুরের বিভিন্ন বাজার, চায়ের দোকান, উপজেলা পরিষদ চত্বরসহ সর্বত্র চলে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশীদ বাবলুর আপত্তিকর ও অশ্লীল কর্মকান্ডের ভিডিও নিয়ে আলোচনা, সমালোচনা ও নিন্দার ঝড়।
ঝাউদিয়া এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, আব্দুর রশীদ বাবলুর চারিত্রিক ত্রæটি আগে থেকেই রয়েছে। এ আর নতুন কি? এরা আবার জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সেবক বলে দাবি করে। যার কাছে একটি বাচ্চা মেয়ে নিরাপদ না তারা আবার জনগণের সেবক হয় কিভাবে তা ভেবে পাইনা।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশীদ বাবলুর আপত্তিকর ও অশ্লীল কর্মকান্ডের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার বিষয়ে রিফাইতপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবু বলেন, আমিও আপত্তিকর ও অশ্লীল ভিডিওটি দেখেছি। দেখার পর থেকে আমি নিজেই লজ্বিত হয়েছি। তার মত (আব্দুর রশীদ বাবলু) একজন দায়িত্বশীল প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়াম্যানের কাছ জনগণ এটা প্রত্যাশা করেনা, আমিও করিনা। অশ্লীল ও আপত্তিকর ভিডিওটি দেখার পর থেকে আমি চরম ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমন বলেন, আমি জেলা আওয়ামী লীগের একটি জরুরি মিটিংয়ে আছি। এবিষয়ে পরে কথা বলবো।
তবে ভাইরাল ইস্যু হলেও বিষয়টি জানেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাসির উদ্দিন।
এ বিষয়ে জানতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রশীদ বাবলু’র সাথে মোবাইলফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে দৌলতপুরের ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি লম্পট এ নেতার বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি প্রশাসনিক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।