শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন

দৌলতপুরে অসময়ের বন্যায় দিশেহারা কৃষক

কুষ্টিয়ার সময় প্রতিবেদক / ৪৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২২, ১০:১৭ পূর্বাহ্ন

ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের প্রকোপ ও তিস্তার পানি বাড়ায় চলতি মাসের ১০ তারিখ থেকে প্রতিনিয়ত পানি বাড়ছে পদ্মায়। এমন তথ্য জানিয়েছে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড । দিনে গড়ে ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধির কথা জানানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। তবে, সোমবার ১৭ অক্টোবর পানি বেড়েছে ৫ সেন্টিমিটার।

এদিকে, নদীর পানি বৃদ্ধিতে ইতিমধ্যে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার নদী তীরবর্তি চার ইউনিয়নের মধ্যে দুটি উনিয়নের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পেঁয়াজ ও কলাই ক্ষেত তলিয়ে গেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কৃষকের।

অসময়ে প্রাকৃতিক এমন দুর্যোগে কৃষকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তাঁরা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। চিলমারি ইউনিয়নের পেঁয়াজ ও কলাই চাষি মিজানুর রহমান মিন্টু জানান, তিনি এবছর ৫ বিঘা জমিতে কলাই ও ১ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করছেন। শুরুতেই ডুবে গেছে লাগানো পেঁয়াজ আর বুনে রাখা কলাই বীজ। এই কৃষক আরও বলেন, ‘দুশ্চিন্তায় আছি, কী যে হবে ফসলের। এমন ঘটনার সম্মুখীন এর আগে হইনি’

একই ইউনিয়নের আরেক চাষি রাসেল সরকার বলেন, ‘ হঠাৎ নদীতে কয়েকদিন পানি বেড়েছে যার কারণে নিম্নাঞ্চলের আবাদি জমি ডুবে গেছে।

এবিষয়ে রামকৃষ্ণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল বলেন, নদীতে হঠাৎ পানি বাড়ায় কলাই ও পেয়াজ আবাদি জমি ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হবেন অন্য চাষিরাও।

এ প্রসঙ্গে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডর তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন, ভারতীয় ও অন্যন্য পাহাড়ি ভারি ঢলের কারণে উজানে পানি বাড়ায় পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ সমবার সকালে পানি প্রবাহ ছিলো ১২ দশমিক ৮০ মিটার, যা বিপদসীমার ১ দশমিক ৪৫ মিটার নীচে।

ফসলের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম বলেন, এখনও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা সম্ভব হয়নি। মাঠে কর্মকর্তারা কাজ করছেন । দু’একের মধ্যে তথ্য হাতে পাবো। চরে সবেমাত্র পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে।

নতুন করে সপ্তা’খানেক পানি বাড়লেও দৌলতপুর উপজেলা কৃষি বিভাগের নেই পর্যাপ্ত জানাশোনা।

এবছর দৌলতপুরে সাম্প্রতিক আগের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের ৫ কেজি করে কলাই বীজ ও ১৫ কেজি করে সার দিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের কৃষি বিভাগ। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দপ্তর থেকে দেয়া হয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের বরাদ্দে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরও জানান, খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের সহযোগিতা ও উন্নয়ন প্রাসঙ্গিক পরামর্শ দেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর