কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল হান্নান এর পুত্র তুষার ইমরান হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও প্রধান আসামি অন্ত সহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে। মামলা তদন্ত ও বিচার কাজে বিলম্বের অভিযোগ বাদির পরিবারের।
গেল বছর নিখোঁজের ৪ দিন পর তুষারের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে খোকসা থানা পুলিশ। এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তুষার গত বছর ১৬/১০/২০১৯ তারিখ সন্ধ্যায় বাড়িতে দ্রুত ফিরে আসবে বলে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে নিখোঁজ হয়। পরবর্তীতে নিখোঁজের চার দিন পরে ২০/১০/২০১৯ বিকালে নজরুলের ধানক্ষেতে তুষারের অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার করা হয় ।
জানাযায় এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসের প্রথম দিকে তুষারের সাথে তার বন্ধ অন্ত, জন, মোস্ত মিলে কথা কাটাকাটি হয় এবং মোবাইল ও মেমোরি কার্ড নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় তুষারকে মারপিট করে। পরবর্তীতে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা হলেও অন্তু এবং তার সাথীরা বিভিন্ন সময় তুষারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল । এরই ধারাবাহিকতায় তুষার কে হত্যা করা হয় বলে জানাযায়।
এবিষয়ে নিহতের মা বাদী হয়ে ২১/১০/২০১৯ তারিখে কুমারখালী উপজেলার মাঝগ্রামের মোতালেব এর পুত্র অন্ত (২১) কে প্রধান আসামি করে খোকসা উপজেলার গোপগ্রামের রবিউল শেখের ছেলে জনি(১৯), মোস্ত(২৭),মোতালেব হোসেন (৫৬), জাকিরের ছেলে নাবিক সহ অজ্ঞাত ৩/৪ জনের নামে খোকসা থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং-০৮/ ২১-১০-২০১৯।
তবে দীর্ঘ দিন পার হলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে প্রধান আসামি অন্তু। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদান করছে আসামিপক্ষ। মিথ্যা মামলাসহ বাদী পরিবারকে ভয়-ভীতি দেখাতে একাধিকবার কাফনের কাপড় বাদীর বাড়িতে পাঠানো হয় বলে জানা যায। মামলার আটককৃত আসামী আনোয়ার হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও মামলার বিচারী কাজে কোনো অগ্রগতি নেয় বলে অভিযোগ করে নিহতের পরিবার আসামি আনোয়ার তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলে ঘটনার দিন আটটার দিকে ঘটনাস্থলে বসে অন্তু, আলম চেয়ারম্যানের ছেলে সজিব, আমিরুল,বাদশা,লিংকন আমরা সবাই মিলে গাঁজা খায়।
কিছুক্ষণ পর তুষার আসলে অন্ত এবং তুষারের মধ্যে মোবাইল নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয় এর এক পর্যায়ে অন্তু আলম চেয়ারম্যানের ছেলে সজীব তুষারকে কিল এবং ঘুষি মারতে শুরু করে পরবর্তীতে আমরা সবাই মিলে তুষারকে মারা শুরু করি অন্তও চেয়ারম্যানের ছেলে সজীব তুষারের বুকে ওপর উঠে মারতে থাকে আমি পা ধরে রাখি। পরবর্তীতে দেখি তুষার আর নিঃশ্বাস নিচ্ছে না। তাই আমি ভয় পেয়ে পালিয়ে আসি। আমার মারার ইচ্ছে ছিল না। আমি ভুল করেছি।
তবে আসামিপক্ষ এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ন্যায় বিচার হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
নিহতের মা মাকসুদা বেগম সন্তান হারানোর বেদনা নিয়ে ন্যায় বিচারের আশায় এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। সুশীল সমাজের দাবি, অতি দ্রুত এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় এনে কঠিন এবং কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেওয়া হোক।