কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলাধীন ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩ পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর ডিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি তারিক সালমান তাপস ও প্রধানশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, এই দুই ব্যক্তি পরষ্পরের যোগসাজসে অবৈধভাবে নিয়োগ সম্পন্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা জান মোহাম্মদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ৩০ নভেম্বর (বুধবার) দুপুরে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয় নিয়োগ প্রার্থীর অভিভাবকগণ।
এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধা জান মোহাম্মদ ,রোয়েন খান ও রিপন আলী বলেন, কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক আন্দোলনের বাজার পত্রিকায় গত ৩০জুলাই’২২ সংখ্যায় অফিস সহায়ক(পদ সংখ্যা -১),নিরাপত্তা কর্মী(পদ সংখ্যা-১) ও পরিচ্ছন্ন কর্মী(পদ সংখ্যা-১) পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। শর্তাবলী মেনে ৩ পদে ১১ জন আবেদন করেন। আগামী শনিবার লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার দিন ধার্য হলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী প্রবেশপত্র পায়নি। প্রবেশপত্র চাইতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন প্রধানশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক। আশিকুর রহমান নামে অফিস সহায়ক পদের প্রার্থী বলেন, বিদ্যালয়ের সভাপতির আপন ভাই আহম্মেদ সাজ্জাদ অনিক কে নিয়োগ দেয়ার জন্য কাউকে প্রবেশপত্র দিচ্ছেন না।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিয়োগ প্রত্যাশী মোঃ মাসুদুর রহমান(দাড়েরপাড়া ), ফাহিম হাসান(দৌলতখালী ),রনি ইসলাম(শশীধরপুর), জীবন রহমান(দাড়েরপাড়া) মোঃ জাকির হোসেন(দাড়েরপাড়া), মোঃ বিপ্লব হোসেন (দৌলতখালি), মোঃ রবিউল ইসলাম (শষিধরপুর), মোঃজাকির হোসেন(দাড়েরপাড়া),মোঃ এজাজুল হক (গবরগাড়া) কেউ প্রবেশপত্র পায়নি।
প্রধানশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি নিয়ম মেনে সকল কিছু করার চেষ্টা করেছি। তবে সভাপতি কার সাথে কি করছে তা আমার জানা নাই। নিয়ম মেনে করেছেন তবে পরিক্ষার দিন শনিবার ধার্য্য হলেও প্রবেশ পত্র বুধবার পর্যন্ত কোন নিয়োগ প্রত্যাশী ব্যক্তি পাই নাই তাহলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সঠিকভাবে হচ্ছে বলে আপনি কিভাবে মনে করেন। এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন নিয়ম অনুসারে পরীক্ষার বাহাত্তর ঘন্টা আগে প্রবেশপত্র দেওয়া যায়, আমি সেই নিয়ম ফলো করেছি।
এ বিষয়ে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তারিক সালমান তাপসের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি কল না ধরে কেটে দেন।