গৃহবধূকে সংসার ত্যাগে বাধ্য করে জোরপূর্বক তালাকে সাক্ষর করিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায়।
ষোলো দাগ দক্ষিণ পাড়ার আশরাফুল আলীর ছেলে আল আমীনের স্ত্রী মিতা খাতুন শিশু সন্তান নিয়ে ঘুরছেন সুষ্ঠু বিচারের আশায়। মিতা খাতুনের দাবি, বিয়ের পর সন্তান গর্ভে থাকার সময় তাকে নির্যাতন করে স্বামীর বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। এর বছর খানেক পরে মিমাংসা সংশ্লিষ্ট বৈঠকে গেলো ৮ অক্টোবর ডাকা হয় ষোলো দাগ বাহিরচর ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে বৈঠক পরিচালনাকারীরা একটি কাগজে সাক্ষর নিয়ে পরে তাকে জানিয়ে দেয় তালাক সম্পন্ন।
গৃহবধূ মিতা’র বাবা মাহাতাব উদ্দিন বলেন, পারিবারিক সম্বন্ধে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই মেয়ের সাথে জামাই খারাপ ব্যবহার করতো, চেহারা নিয়ে কটাক্ষ করতো, কয়েকদিন পরপরই মারধর করতো। আমার মেয়েকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে আর কোনো খোঁজ নেয়নি। আমার নাতীর জন্ম হলে তারও খোঁজ নিতে আসেনি তারা। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে বৈঠকের কথা বলে ডেকে আমি এবং আমার মেয়ে সহ আরও একজনকে জিম্মি করে তালাকের কাগজে সাক্ষর করানো হয়,আমরা সেখানে বিষয়টির প্রতিবাদ করলে আমাদের ওপর তারা চড়াও হয়, মারধর করে। এসময় দুই মেম্বারও আক্রমণ করে। দেনমোহর বা সন্তানের অধিকার সম্পর্কে কোনো কথা বলেনি তারা।
অভিযুক্ত আল-আমীনের এক কৃষক প্রতিবেশী নাম প্রকাশে অপারগতা জানিয়ে বলেন, তাদের প্রায়ই ঝামেলা হতো। অনেকদিন বউ আসেনা এখানে। শুনলাম গতকাল তালাক হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কথা বলতে অভিযুক্ত আল-আমীনের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার ব্যবহৃত একাধিক ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রওশন আরা জানান, তালাকে সাক্ষর নেয়ার আগে তাদের উভয় পক্ষের কাউকেই লিখিত নোটিশ দেয়া হয়নি। সন্তানের ভরনপোষণ সহ দেনাপাওনা নিয়ে আলোচনা হয়নি। চড়াও হওয়া প্রসঙ্গে এই ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এটা ভয় দেখানোর জন্য করেছি।
এ বিষয়ে ভেড়ামারা থানার ওসি জহুরুল ইসলাম জানান, অভিযোগটির বিষয়ে খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।