শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ অপরাহ্ন

জেল থেকে বের হয়ে রানার অত্যাচারে অতিষ্ট কুষ্টিয়ার মানুষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক / ১১৬ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২২, ২:৩৪ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া থানাপাড়ার বাসিন্দা জমসেদ রানা (ওরফে চোর রানার) অত্যাচারে অতিষ্ট কুষ্টিয়ার থানাপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও এনএস রোডের দোকানি সহ কুষ্টিয়া পৌর কাঁচাবাজারের সাধারণ ব্যবসায়িরা। রানা কুষ্টিয়া শতীস চন্দ্র সাহা লেনের সিরাজুল হক মিঞার দ্বীতিয় পুত্র ।

থানাপাড়া ও চর-থানাপাড়া এলাকার বিস্তৃত এলাকা জুড়ে রানা তৈরী করেছে তার চুরি ও ছিনতাই চক্র। তার এই চক্রের সাথে রয়েছে এলাকার কিছু উঠতি বয়সি মাদক সেবি।

এরা কখোনো সংঘবদ্ধ ভাবে আবার কখোনো বা একক ভাবে এলাকায় চুরি ও ছিনতাই করে আসছে। মূলত এরা মাদক সেবনের টাকা যেগাড় করার জন্য এসব অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়াও রানা সহ এই গ্রুপের সদস্যরা কখোনো কখোনো মাদকের টাকা যোগাড় করতে বড় মাদক ব্যাবসায়িদের সহকারী হিসেবেও কাজ করে।

আজ থেকে ২০ দিন আগে বেলা ১২ টার দিকে শহরের থানাপাড়া এলাকায় এসেছিলেন কুমারখালীর ঘি ব্যবসায়ি বিশ্বজিৎ তখন রানা তাকে পথরোধ করে মারধোর করে এবং তার কাছে থাকা ৩০০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ৭ দিন আগে কুষ্টিয়া এনএস রোডের এসেন্স ফার্মেসী থেকে ১৭০০ টাকার ঔষধ ও প্রসাধণী সামগ্রী চুরি করে নিয়ে পালায় রানা। বিগত ৩ দিন আগে এনএস রোডের বাংলাদেশ ঔষধলয় থেকে ২৭০০ টাকার ঔষধ জোর করে নিয়ে যায় রানা।

বিগত ২ দিন আগে কুষ্টিয়া পৌর কাঁচাবাজারের রেল পাড়ের এক মাছ ব্যবসায়ির কাছ থেকে জোর করে মাছ ছিনিয়ে নিয়ে যায় রানা। গতকাল সকাল ১১ টার দিকে রিক্সায় করে এনএস রোড ধরে থানাপাড়ার একজন অবসর প্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা পৌর বাজারে বাজার করতে যাচ্ছিলেন। এসময় রানা হঠাত করে নির্মানাধীন জেলা পরিষদ ভবনের সামনে থেকে জোরপূর্বক রিক্সা থামিয়ে তার পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নিতে যায়। এসময় হৈচৈ শুনে রা¯তার লোকজন এবং ব্যবসায়িরা এগিয়ে আসলে রানা পালিয়ে যায়। এদিকে কুষ্টিয়া পৌর বাজারের প্রায় সব ব্যবসায়িই রানার অত্যাচারে অতিষ্ট। প্রায় প্রতিদিনই পৌর বাজার সহ থানাপাড়া এলাকায় এবং এনএস রোডের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চলছে ছোটখাট চুরি ও ছিনতাই এর ঘটনা।

এলাকাবাসী সহ ব্যবসায়িদের অভিযোগ এসব ঘটনার সাথে সরাসরি রানা এবং তার সহযোগীরা জড়িত। এদিকে জানা যায় রানার নামে কুষ্টিয়া মডেল থানায় রয়েছে একাধিক চুরি, ছিনতাইয়ের মামলা। এদিকে রানার বিষয়ে জানতে কথা হয় কুষ্টিয়া দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেনের সাথে। মকবুল হোসেন জানান রানার অত্যাচারে ব্যবসায়িরা অতিষ্ট। প্রায় প্রতিদিনই রানার নামে বিভিন্ন ব্যবসায়িরা অভিযোগ করেন। একাধিকবার রানা জেল খাটলেও তার কোন শিক্ষা হয়না । বাইরে বের হয়ে এসে সে আবার অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে।

এদিকে প্রতিদিনই তার নানান অপকর্ম বেড়েই চলেছে। রানা সাধারনত মাজায় ড্যাগারের মতন অস্ত্র নিয়ে ঘোরে। দ্রæত তাকে দমানো না গেলে যেকোন সময় ঘটতে পারে প্রাণহানির মতন ঘটনা। রানাকে দ্রæত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন থানাপাড়াবাসি ও ব্যবসায়িরা।

এদিকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান বলেন,শহরে ছিনতাই পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করছে পুলিশ। ছিনতাইকারীদের ধরতে মাঠ পযার্য়ে সার্বক্ষনিক তৎপরতা রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর