১১তম ডাচ-বাংলা প্রথম আলো বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড জাতীয় পর্বে ‘সি’ ক্যাটাগরিতে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী গোলাম ইশতিয়াক সাদাত প্রথম স্থান অর্জন করেছেন।
শুক্রবার (৪ জুন) অলিম্পিয়াডের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণীর ভার্চুয়াল অনুষ্ঠান ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়াল এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি।
কৃতিত্ব অর্জনকারী সাদাত কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনস স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম ফারুক ও পোড়াদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহারের ছেলে।
জানা যায়, সাদাত এর আগে ২০১৯ সালে এশিয়ান ফিজিক্স আন্তজার্তিক অলিম্পিয়াডের প্রতিযোগী হিসেবে অস্ট্রেলিয়াতেও যান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলা থেকে জাতীয় ফিজিক্স অলিম্পিয়াডে ৯ হাজার ৮০০ জন প্রতিযোগী রেজিস্ট্রেশন করেন। পর্যায়ক্রমে জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে প্রতিযোগীতার মাধ্যমে দুই হাজার ৯০০ জন উত্তীর্ণ হন।
পরবর্তীতে জাতীয় পর্যায়ে এক হাজার ১০০ জনের মধ্যে তিনটি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থানসহ ৯৫ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রতিযোগীদের মধ্যে ইশতিয়াক সাদাত সি ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। পরবর্তীতে তিন ক্যাটাগরিতে প্রথম স্থান লাভকারীরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানটি ভার্চ্যুয়ালি হওয়ায় বিজয়ীরা অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন। বিজয়ী প্রতিযোগীদের মেডেল, টি-শার্ট ও সনদপত্র ডাকযোগে পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হয় এ অনুষ্ঠানে।
প্রধান অতিথির ভাষণে শিক্ষামন্ত্রী ডাক্তার দীপু মনি বলেন, ‘পদার্থবিজ্ঞান প্রতি নিয়তই আমাদের জীবনকে প্রভাবিত করছে। রোগ নির্ণয় থেকে শুরু করে সব বিষয়ে আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের ওপর নির্ভর করতে হয়। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা ও প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে’।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন, কিশোর আলোর সম্পাদক আনিসুল হক, বিজ্ঞান চিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম, গণিত অলিম্পিয়াডের সাধারণ সম্পাদক মনির হাসান, ফিজিক্স অলিম্পিয়াডের জাতীয় দলের কোচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরশাদ মোমেন প্রমুখ।