শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৫২ অপরাহ্ন

জমি জটিলতা:ভোগান্তির শিকলে বন্দী কুমারখালী-খোকসার মানুষ

কুষ্টিয়ার সময় প্রতিবেদক / ১৮৭ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪, ৩:০০ অপরাহ্ন

ভূমি মালিকদের ভূমি জটিলতা নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। ভূমি জটিলতা নিরসনে যুগের পর যুগ ধরে তারা ঘোরেন সরকারি অফিসে। তবুও শেষ হচ্ছে না এ সংকট। বলা যাই মোটা দাগে ভোগান্তির শিকলে বন্দি তারা। এদিকে উপজেলা প্রশাসন বলছেন জটিলতা নিরসনে একত্রিত হতে সবাইকে।

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়ন মৌজার এ সংকট বহুদিনের। এলাকাবাসী ও স্থানীয়রা জানান, হাজার হাজার মানুষ জমি রেকর্ড নাম জারীসহ জমি কেনাবেচা নাম খারিজ এসব জটিলতায় দৌড়াতে হয় পাবনায়। অথচ তারা নাগরিক সুবিধা এবং ভোট দিয়ে থাকেন কুমারখালী উপজেলায়।

জেলার দুই উপজেলার মধ্যে কুমারখালীর জগন্নাথপুর ইউনিয়নের দয়রামপুর, হাসিমপুর,চরমহেন্দ্রপুর, এছাড়াও খোকসা উপজেলার আমলাবাড়ি কুঠিপাড়া এলাকার মানুষের এই ভোগান্তির শেষ নেই।

চরমহেন্দপুর এলাকার সুজন ঘোষ জানান, আমরা কুমারখালীর মানুষ আমাদের পাবনা গিয়ে জমি রেকর্ড করতে গিয়ে বিভিন্ন সময়ে হয়রানির শিকার হতে হয়। দিনের পর দিন ধরে ঘুরতে হয় বিভিন্ন দপ্তরে দপ্তরে তবুও শেষ হয়না কাজ। অনেক সময় আবার দালাল চক্রের ক্ষপ্পরে পড়ে অনেকেই নগদ অর্থ খুয়িয়েছেন।

রোহিত জানান, চর পাড়ি দিয়ে পাবনা যাওয়া টা অনেক কষ্টের তবুও যেতে হয় তবে দ্রুতই এ সমস্যা নিরসন হলে স্বস্তি ফিরবে তাদের।

সত্যেন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, ভোট দিয়ে থাকেন কুমারখালী উপজেলায় সকল সুযোগ সুবিধাও এখান থেকেই তবে জমি জটিলতার জন্য এই দুঃখ দুর্দশা কষ্ট বহু বছর ধরে। তারা চান অচিরেই এ সমস্যাটি সমাধান হলে চর পাড়ি দিয়ে ৩০-৩৫ কিলোমিটার দূরে যাওয়া থেকে রেহাই পেতেন।

কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভুমি) আমিরুল আরাফাত বলেন,যেহেতু প্রশাসনিক বিষয় জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে বিষয়টি ওনি দেখবেন।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল হক বলেন, সরকারি পক্ষ থেকে তেমন কোনো জটিলতা নেই। তবে স্থানীয় জনগণ চাইলে সমস্যা নিরসন সম্ভব।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর