কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে চুরির অপবাদে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। সোমবার নন্দলালপুর ইউনিয়নের আলাউদ্দিন নগর দারুল আহাদ আল ইসলামিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এই নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার নির্যাতনের সাথে জড়িত মাদ্রাসার পরিচালক সামছুল হককে থানা পুলিশ আটক করে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
নির্যাতনের শিকার খোকসা উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের শিপন মন্ডলের ছেলে নাঈম মন্ডল (১১)।
সে কুষ্টিয়া মাদ্রাসাতুল আবরার এ হাফেজিয়া (কওমি) এর শিক্ষার্থী।
শিক্ষার্থী নাঈম এর মা গোলাপি খাতুন জানান, তার ছেলে আলাউদ্দিন নগর দারুল আহাদ আল ইসলামিয়া নূরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিলো। কিছুদিন আগে এই মাদ্রাসা ছেড়ে সে কুষ্টিয়া মাদ্রাসাতুল আবরার এ ভর্তি হয়। গত রোববার দুর্যোগের রাতে নাঈম কুষ্টিয়া মাদ্রাসা থেকে কুমারখালী আলাউদ্দিন নগর মাদ্রাসায় এসে পার্শ্ববর্তী সোলাইমানের দোকানের টিন ফাঁকা করে বিস্কুট ও জুস খেয়ে দোকানীর খড়ের গাদায় ঘুমিয়ে পরে।
পরবর্তীতে সকালে মাদ্রাসার পরিচালক সামছুল ও সোলাইমান সহ ৬ জন ঘুমন্ত নাঈমকে টেনে তুলে পাশবিক নির্যাতন করে। নাঈমের শরীর সিগারেটের আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং মাথার চুল ঘাস কাটা কাচি দিয়ে কেটে দেওয়া হয়। নির্যাতনের এক পর্যায়ে নাঈম অসুস্থ হয়ে গেলে তার মা গোলাপি খাতুনকে ফোনে খবর দেওয়া হলে তিনি নাঈম হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করেন। এ বিষয়ে নাঈমের মা বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় মামলা করেছেন বলে জানান।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আকিবুল ইসলাম জানান, শিশুর উপর নির্যাতন কোনভাবেই কাম্য নয়। ইতিমধ্যে নির্যাতনের সাথে জড়িত মাদ্রাসার পরিচালক সহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কুমারখালী থানায় মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।