শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৪ অপরাহ্ন

চার বছর বয়সী ৩১ মণ ওজনের হিরো আলমের দাম হয়েছে ১২ লাখ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক / ৪১১ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শুক্রবার, ৯ জুলাই, ২০২১, ১২:৫৫ অপরাহ্ন

টাঙ্গাইলের বাসাইলের কোরবানির পশু শাকিব খান ও ডিপজলের পর এবার আলোচনায় এসেছে দেলদুয়ার।উপজে’লার হিরো আলম। হিরো
আলম নামে এই ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড়ের ওজন।প্রায় ৩১ মণ। বয়স প্রায় ৪ বছর। লম্বায় সাড়ে ৮ ফুট। উচ্চতা ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি। ষাঁড়টির দাম হাঁকা হচ্ছে
১২ লাখ টাকা।

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজে’লার ফাজিলহাটী ইউনিয়নের বটতলা গ্রামের প্রবাসী কা’ম’রুজ্জামানের স্ত্রী’ জয়নব বেগমের খামা’রের ষাঁড় এটি। নামকরণ ও বেশ বড় আকৃতির কারণে স্থানীয়রা জয়নব বেগমের বাড়িতে ষাঁড়টি দেখতে ভিড় করছেন।প্রতিবছরের মতো এবারও কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য তিনটি গরু প্রস্তুত করেছেন জয়নব বেগম। তিনটির মধ্যে সবচেয়ে বড় ষাঁড় এটি।
ষাঁড়টি তিনি প্রায় দেড় বছর আগে পাবনা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়ে ক্রয় করেন। ষাঁড়টি এবার ঢাকার অন্যতম গাবতলীর হাটে বিক্রির জন্য
উঠানো হবে।

জানা গেছে, জয়নব বেগমের খামা’র থেকে গত বছর বিক্রি করা ষাঁড়টির নাম ছিল ‘সোনা বাবু’।সেটির ওজন ছিল প্রায় ৩৫ মণ। ঢাকার গাবতলীর
হাটে গত বছর জয়নব বেগমের সোনা বাবুর দাম নয় লাখ টাকা পর্যন্ত ক্রেতারা বলেছিল। ন্যায্য মূল্য না পেয়ে বাড়িতে ফেরত আনতে গিয়ে গাড়ি থেকে নামানোর সময় ওই ষাঁড়টির গা
ভেঙে যায়। এরপর ষাঁড়টি তিন লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। ওই সময় জয়নব বেগম বেশ ক্ষতিগ্রস্ত
হন।

খামা’রি জয়নব বেগম বলেন, প্রতি বছরই আমি কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য ষাঁড় প্রস্তুত করি।এবারও তিনটি ষাঁড় প্রস্তুত করেছি। খামা’রে বড়
গরুটির ওজন প্রায় ৩১ মণ। এটির নাম রাখা হয়েছে হিরো আলম। গরুটিকে প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করেছি। শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ গরুগুলো লালন-
পালনে আমাকে সহযোগিতা করছেন। বর্তমানে আমা’র স্বামীও দেশে এসেছেন। তিনিও গরুগুলো দেখাশোনা করছেন।ষাঁড়টি বিক্রি ও ন্যায্যমূল্য নিয়ে চিন্তিত উল্লেখ করে জয়নব বেগমের স্বামী কা’ম’রুজ্জামান বলেন, গরু লালন-পালন করতে আমা’র খুব ভালো
লাগে। প্রবাসে যাওয়ার আগে আমি নিজেই গরুর খামা’র করেছিলাম। আমি প্রবাসে থাকায় স্ত্রী’কে দিয়ে প্রতিবছর কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য গরু প্রস্তুত করি। এবারও তিনটি গরু
প্রস্তুত করা

উপজে’লা প্রা’ণিসম্পদ কর্মক’র্তা এনায়েত করিম বলেন, ‘নিয়মিত ষাঁড়টিকে দেখাশোনা করা
হচ্ছে। প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে ষাঁড়টি লালন-পালন করছেন জয়নব বেগম। তার ষাঁড়টিই উপজে’লার মধ্যে সবচেয়ে বড়।’তিনি আরও বলেন, ‘লকডাউনের কারণে কোরবানির পশু বিক্রি ও ন্যায্যমূল্য নিয়ে খামা’রিরা চিন্তিত রয়েছেন। তবে আম’রা অনলাইনে পশু
বিক্রির জন্য অ্যাপস তৈরি করেছি। ওই অ্যাপসের মাধ্যমে যে কেউ কোরবানির পশু বিক্রি করতে পারবেন।’


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর