সাধারণত শীতকালে পেঁয়াজ চাষ হয়। গরমের শুরুতে মার্চে এই পেঁয়াজ বাজারে আসে। বছরের বাকিটা সময় ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের ওপর নির্ভর করতে হয় সাধারণ মানুষকে। আমদানি নির্ভরতার কারণে হঠাৎ হঠাৎ বেড়ে যায় দাম। যার কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির আলোচনার বড় অংশজুড়ে থাকে পেঁয়াজের ঝাঁজ।
এদিকে পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে খোকসাতে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ শুরু হয়েছে। রবিবার উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নে আজইল গ্রামে চাষিদের সাথে পিয়াজের চারা রোপণ করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা।
খোকসা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, এই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে দশজন কৃষককে বিনা মূল্যে সার-বীজ প্রদান করা হয়েছে। এবং এই উপজেলায় একশত বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পিয়াজ রোপণ করা হবে।
খোকসা ওসমানপুর ইউনিয়নের আজইল গ্রামের কৃষক রহিম শেখ জানান, আগামীতে এ জাতের পেঁয়াজ চাষ জমির পরিধি তিনি আরো বাড়িয়ে দেবেন। তার পেঁয়াজের ফলন দেখে এখন এ জাতের পেঁয়াজ চাষে অনেকে আগ্রহী।
শুধু কৃষক রহিম শেখ নয়, খোকসায় এখন গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ করছেন অনেকে। ফলন দেখে অনেক কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে এ জাতের পেঁয়াজ চাষে।
কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে বছরজুড়ে পেঁয়াজ চাষের বিকল্প নেই। এজন্য বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গুনগত বীজ সরবরাহ এবং কৃষকদের বোঝানো গেলে আগামী ২-৩ বছরের মধ্যে পেঁয়াজ সংকট দূর করা সম্ভব।
খোকসা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সবুজ কুমার সাহা বলেন, ‘শীতকালে পেঁয়াজ উৎপাদনে প্রায় ৪ মাস লাগে। কিন্তু ৩ মাস ৩ দিনেই নতুন জাতের এই পেঁয়াজ তোলা হয়েছে। এই চাষে সাফল্য দেখে গ্রামের অন্য কৃষকরা এই পেঁয়াজে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। আমি প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের পাশে যেয়ে গ্রীষ্ম কালীন পিয়াজ চাষে উদ্বুদ্ধ করছি এবং বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছি।’