কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার জয়ন্তীহাজরা পশিচমপাড়া গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের পশিচমপাড়া গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর বড় ছেলে মো: আবু’র (৫০) স্ত্রী রেখা খাতুনের সংগে, মাহমুদ আলী’র মেজ ছেলে আসাদের স্ত্রী আমেনার (৩০) এর কথাকাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সেটা পারিবারিক সংঘর্ষে রুপ নেয়।
ঘটনার বিবরনে, মৃত মাহমুদ আলীর মেয়ে জানান, গতকাল আমার বড় ভাবী মেজ ভাবীকে চুরির অপবাদ দেয় এ নিয়ে আমার বড় ভাইয়ের স্ত্রীর সংগে মেজ ভাইয়ের স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়, এক পর্যায়ে আমার বড় ভাইয়ের ছেলে রিফাত (২০) আমার মেজ ভাবিকে মারতে যায় তখন আমার সেজ ভাই বিষু (৩৫) এসে তাকে বাধা দেয় এবং থামিয়ে দেয়।
আমার বড় ভাবী এই গ্রামেরই মেয়ে হওয়ায়, এর মধ্যেই সে তার বাবা, মা, ভাইদের ডকে নিয়ে আসে, তার ভাই আক্তার (২৭) তার অন্যন্য আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে মেজ ভাবীর ঘড়ের দড়জা ভেঙ্গে তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। পরে এলাকার মানুষ এসে তাকে উদ্ধার করেন। পরে তাকে খোকসা থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
কিন্ত এর পরেও তারা থেমে থাকে নাই,আজ আবার হসপিটালে এসেও তাকে অকথ্য গালাগালি করতে থাকে এক পর্যায়ে হসপিটালের নার্স তাদের হসপিটাল থেকে বের করে দেয়। কিন্তু যাওয়ার সময় বলতে থাকে আমি এখনই বাড়ি গিয়ে তোদের সবাইকে আবার পেটাবো।
এরপর গৃহবঁধু আমেনা (২৭) তাকে মারধরের অভিযোগ করে বলেন, আমার বড় জাঁ’র ( ভাসুরের স্ত্রী ) সাথে আমার সামন্য বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়্ এ সময় তার ছেলে রিফাত এসে আমাকে মারতে গেলে আমার দেবর বিষু (রিফাতের চাচা ) বাধা দেয়। এবং তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এরপর আর কোন মারামারি নাই, আমি ঘড়ে চলে যায়।
কিছুক্ষন পরেই ওরা আমার ঘড়ের দড়জা ভেঙ্গে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এবং হসপিটালে এসেও তাকে গালাগালি করে।
এ ঘটনায় আবু’র স্ত্রীর ছোট ভাই আক্তার প্রামানিক (৩৬) টেলিফোনে, অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমাদেরই তারা মারধর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন নিয়ে, আমেনার স্বামী আমার বোন কে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমিও আহত হয়েছি। তারা পার্শবর্তী লোকজন নিয়ে আমাদের হামলা করে।
এ ঘটনায় মোট আহত’র সংখ্যা ১১ জন এর মধ্যে পাঁচজনের জখম গুরুতর হওয়ায় তাদের কে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে।
আহতরা হলেন, রুহুল আমীন (২২) পিতা আব্দুল্লাহ শেখ, সাদ্দাম মোল্লা, (৬৫) পিতা- মৃত ইউছুফ মোল্লা, আবুখাঁন (৫০), পিতা -মৃত মাহমুদ আলী, দুলাল (৩২) পিতা- জিলাল মন্ডল, জালাল উদ্দিন, পিতা- জিলাল মন্ডল,আক্তার (৩৬) পিতা- উকিল প্রামানিক, সিফাত (৩০) পিতা- আবু খাঁন, আলতাব (২৪) পিতা-উকিল প্রামানিক, আলাল মন্ডল (৩৫) পিতা- জিলাল মন্ডল, হেলাল মন্ডল, পিতা-জিলাল মন্ডল, টুম্পা খাতুন (২০) পিতা-জালাল, সর্ব সাং – জয়ন্তীহাজরা। তবে এ ঘটনায় এখনও কোন পক্ষই মামলা দায়ের করেননি বলে জানান, খোকসা থানা অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জমান তালুকদার।