কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা সদরের মূল কাঁচা বাজারে সব ধরনের ভোগ্যপণ্যের দাম চড়া। খোকসা বাজারে সাধারনত খোকসা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে শাক-শবজী ও অন্যান্য কাঁচামাল আমদানী হয়।
খোকসা বাজারে পাইকারী আড়তদার ও খুচরা ব্যবসায়ীরা বলেন , দেশব্যাপী টানা বৃষ্টির কারনে সবজির ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে। এই জন্য আড়তে কাঁচামালের আমদানী কম হচ্ছে আর এই কারনে বাজার বেড়ে যাচ্ছে। তবে সেলিম ট্রেডার্সের স্বত্তাধিকারী ও জয়ন্তীহাজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, আব্দুর রাজ্জাক বলেন এক সপ্তাহের মধ্যে কাঁচা মরিচের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসতে পারে। তিনি বলেন এলসির মাধ্যমে ভারত থেকে যে কাঁচামরিচ আমদানী করা হয় সেই সমস্ত মালের গাড়ীগুলো অনেক সময় বর্ডারে আটকা পড়ে যায় ফলে কাঁচামালে পচন ধরে। এই সমস্ত কারনেও অনেক সময় বাজার বেড়ে যায়।
তাছাড়া উত্তরাঞ্চল থেকে যে কাঁচামাল গুলো আমাদের এলাকায় আসে সেগুলোতেও কিছুটা ভাঁটা পড়েছে বন্যার কারনে তবে তিনি মনে করেন অল্প কিছুদিনের মধ্যেই বাজার স্বাভাবিক হতে শুরু করবে। খোকসা কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আলু ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা, পটল ৫ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, কাকরোল ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকা, শসা ১০ টাকা বেড়ে ৫০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০ টাকা বেড়ে ৪০ টাকা এবং লাউ ৫ টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে টমেটো ১০ টাকা বেড়ে ৯০ থেকে ১০০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা ,শীতকালীন শবজী বাঁধাকপি ও মুলা বাজারে আমদানী হলেও দাম অনেক বেশি বাঁধাকপি প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মূলা ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১৬০ টাকা, দেশীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা, বেগুন ৫৫ টাকা, লেবু প্রতি হালি ২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, খোলা সয়াবিন তৈল ১০০ টাকা, চিনি ৬০ টাকা, ডিম প্রতি হালি ৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দ্রব্য মূল্যের এমন মূল্য বৃদ্ধির কারনে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সবুজ হোসেন নামের একজন ক্রেতা জানান, বর্তমানে চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ সব ধরনের বাজারের দাম বাড়তি। এরমধ্যে এখন যুক্ত হয়েছে সবজির বাজার। করোনা শুরু হওয়ার পর থেকে আয় রোজগার কমে গেছে। এরই মধ্যে দাম বাড়ার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তবে সাধারন মানুষ মনে করেন কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে ভোগ্য পণ্যের সাময়িক সংকট সৃষ্টি করে বাজার অস্থিতিশীল করে মুনাফা অর্জন করাই তাদের কৌশল।