শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

খোকসায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ষাটোর্দ্ধ বৃদ্ধাকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত

মমিন হোসেন ডালিম / ২১৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: শুক্রবার, ৫ মে, ২০২৩, ৪:৪৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ার খোকসা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কালীবাড়ি পাড়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ভাংচুর ও মারামারির ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় ষাটোর্ধ এক বৃদ্ধা সহ চার জন গুরুতর আহত হন। আহতদের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে খোকসা উপজেলা স্বাষ্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সুত্রে জানাযায়, পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কালীবাড়ি পাড়ার বাসিন্দা বৃদ্ধা আরতী রাহা (৬০)এর নাতী ছেলে সুখময় রাহা (১১) নদীতে গোসল করতে যায়, সে সময় একই এলাকার কোমল হওলাদার এর মেয়ে মুন হওলাদার (১০) নদীতে গোসল করছিল এক পর্যায়ে পানি ছিটানো কে কেন্দ্র সুখময় ও মুন এর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মুন তার বাবা কোমল হওরাদারের কাছে নালিশ করলে কোমল হওলাদার নদীতে গিয়ে শিশু সুখময় রাহাকে পানির মধ্যে চোবাতে থাকে এক পর্যায়ে সুখময় অসুষ্থ হয়ে পড়লে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় ।

এ ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী প্রতিবেশী প্রমিতা নন্দী (২১) সুখমযের ঠাকুরমা বৃদ্ধা আরতী রাহাকে জানালে, বৃদ্ধা আরতী রাহা কোমলের কাছে গিয়ে তার নতীকে পানিতে চোবানোর কারন জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে বৃদ্ধাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনার বর্ননা দিতে গিয়ে অসহায় বৃদ্ধা আরতী রাহা (৬০) বলেন, আমি স্বামী ও সন্তান হারা আমার একমাত্র ছেলে মারা গিয়েছে। আমার এতিম নাতী ছেলেকে বুকে নিয়ে বেঁচে আছি। আর এই এতিম ছেলেকে কোমল হওলাদার পানিতে চুবিয়েছে, আমি তাকে শুধু বলেছি ওরা ছোট মানুষ ভুল করেছে তুমি একটা চড় থাপ্পড় দিয়ে পাঠিয়ে দিতে পারতে আথবা আমাকে বলতে পারতে কিন্তু তারা উল্টা আমাকেই গালাগালি করে এবং মারধর শুরু করে। তখন আমার চিৎকারে আমার ভাই ওমর কুমার ঘোষ (৫০) এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করে এবং তার বাড়ি ভাংচুর সহ তার মেয়ে মিতা বিশ্বাস (৩০) ও জামাই অজিদ বিশ্বাস (৪০) কে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কোমল হওলাদার ও তার বউ এবং ভাই মিলে। তাদের আঘাতে আমার ভাই ওমর কুমার ঘোষ (৫০)  গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আাছে।

আমি এ বিষয়ে খোকসা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি আমি এর বিচার চাই । এ সময় বৃদ্ধার শরীরে বেশ কিছু অঘাতের কালসে রক্তের জমাট বাধা দাগ দেখা যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শী বিন্টু রায় সিংহ বলেন, বাচ্চাদের ঘটনা নিয়ে দু পক্ষই সংঘর্ষে লিপ্ত হয় আমি তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি তারা শোনেনি মারামারির একপর্যায়ে একপক্ষ বাড়ি ভাংচুর শুরু করে। তবে বৃদ্ধাকে এভাবে পেটানো উচিৎ হয়নি বলে তিন জানান।

মহল্লার আর এক বাসিন্দা বাবন সরকার বলেন, সামান্য ঘটনায় বৃদ্ধাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে যা খুবই দু:খজনক । তারা ঘটনার সষ্ঠু বিচার দাবী করেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্তর কোমলের বড় ভাই শ্যামল হওলাদার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বাচ্চাদের ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারি হয়। এতে তাদেরও কিছু ক্ষতি হয় আমাদেরও কিছু ক্ষতি হয়। তবে বাড়ি ভাংচুরের বিষয়টা সত্য নয়।

এ বিষয়ে খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি সুস্থ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর