কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় বাথরুম থেকে খাদিজা খাতুন (১৮) নামে এক গৃহবধুকে জিনে হত্যা করে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার থানা পাড়া প্রবাসী পল্লী এলাকায় স্বামী তৌহিদ মিয়ার বাড়ির বাথরুম থেকে ওড়না পেছানো অবস্থা স্ত্রী খাদিজাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যাই, গত ৩ মাস আগে পাবনা জেলার ইশ্বরদীর ইলিয়াস মজুমদারের মেয়ে খাদিজার সাথে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তৌহিদের। তবে তাদের সাংসারিক জীবনে দৃঘ্যদিন ধরে ঝামেলা লেগেই থাকতো।বিয়ে আগে তৌহিদ তার সহপাঠী কে নিয়ে পালিয়ে গেলেও পরবর্তীতে তা ধামাচাপা দিয়ে খাদিজার সাথে বিয়ে হয় তার।তৌহিদ তার সহপাঠী (প্রেমিকার) সাথে যোগাযোগ রাখতেন বলে প্রতিবেশীরা জানান। এ নিয়ে প্রতিনিয়ত ঝামেলা হতো তাদের সাংসারিক জীবনে। গতকাল বাথরুম থেকে গৃহবধু খাদিজার ওড়না পেছানো অবস্থায় মৃত দেহ বের করানো এটি নাটক।
নিহত গৃহবধুর দত্তক শ্বাশুড়ি পাপিয়া খানম জানান, সারাদিন তার ছেলে তৌহিদ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। খাদিজা বাথরুমে গোসল করতে গেলে আসতে দেরি হওয়ায় ভেতর থেকে সাড়াশব্দ না পেয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙে খাদিজাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
নিহত গৃহবধুর শ্বশুর সোহেল মিয়া মুটোফোনে বলেন,এটা খুব স্বাভাবিক ঘটনা মৃত গৃহবধু তার ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে। মেয়েটির (গৃহবধুর) ঘাড়ে জীনের আছর ছিলো জীনেই তাকে হত্যা করেছে।
মৃত গৃহবধু খাদিজার বাবা ইলিয়াস মজুমদার জানান, অষ্টম শ্রেনীতে পড়ুয়া অবস্থা গত ৩ মাস আগে বিয়ে হয় খাদিজার। তাঁর মেয়ের কোনো রোগ ছিলোনা বলে জানান তিনি।মেয়ে গলাই দড়ি দিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে জানানো হয় তাকে।তিনি এই রহস্যজনক হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.সুস্মিতা সরকার জানান,নববধূকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নকরণের জন্য পুলিশ কে অবহিত করা হয়েছে।