কুষ্টিয়ার খোকসার পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডের মাষ্টারপাড়ার প্রধান সড়কে জলাবদ্ধতার কষ্টে আছেন ৫০টিরও বেশি পরিবার। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিতে রাস্তাটি তলিয়ে যায়। আর এই জলাবদ্ধতার কারণেই এ পরিবার গুলোর ভোগান্তি এখন চরমে। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার টানা বৃষ্টিতে আবারও একই দুর্ভোগে পড়েছেন এই এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে কঠোর বিধিনিষেধে ঘরবন্দী লোকজনের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ এলাকার বাসিন্দাদের।
শুক্রবার (২ জুলাই) পৌরসভার ৪ নম্বর ওর্য়াডে মাষ্টারপাড়া সরজমিনে গিয়ে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগের চিত্র চোখে পড়ে। অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় পানিতে রাস্তা তলিছে বলে জানান এই এলাকার বাসিন্দারা।
পৌর এলাকার মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা সাজ্জাদ হোসেন জানান, তার বাড়ির ভেতরে বৃষ্টির জমা পানি ঢুকে পড়ায়, ঘর থেকে বের হতেও পারছেন না।
তিনি আরো বলেন, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আবার তার উপর নেই ড্রেনের ঢাকনা এতে হরহামেশাই দুর্ঘটনা ঘটে। এমন ঝুঁকি নিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আমাদের।
পৌর এলাকার মাষ্টারপাড়ার বাসিন্দা সন্তু সাহা জানান, একটু বৃষ্টিতেই পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায়। বাসা থেকে জুতা রেখে পানি পেরিয়ে বাজারে ঘাটে যেতে হচ্ছে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, পৌর মেয়র মহোদয় এলাকায় এসে জলাবদ্ধ দেখে গিয়েছেন এবং পানি নিষ্কাশনের দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন এমনটাও জানিয়েছেন বলেও তিনি জানান।
সাজ্জাদ হোসেন ও সন্তু সাহার মতো আরো একাধিক বাসিন্দার সাথে কথা হলে তারা অক্ষেপের সাথে বলেন, আকাশ মেঘলা হলেই এ এলাকার মানুষের মুখে কালো মেঘের ছায়া নেমে আসে এখন। সবগুলো পরিবার জলাবদ্ধতার আশঙ্কায় থাকে। তবে কেউ কেউ বলছে অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় পানিতে রাস্তা তলিয়ে যায় যা আগে কখনোই হয়নি।
আরো পড়ুন: করোনা: গোসল, জানাজা আর দাফনও করান খোকসার এই ১৫ জন
তারা আরো বলেন, ‘শহর এলাকার বাসিন্দা হলেও, এখন আমরা দুর্গম এলাকার মানুষের মতোই মানবেতর জীবন যাপন করছি। কিছু কিছু জায়গায় হাঁটু সমান পানি জমে রয়েছে। আবার রাস্তার পাশে দিয়ে অপরিকল্পিত ড্রেনের উপরে ঢাকনা না থাকায় অনেকেই পড়ে যায় এতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এমতাবস্থায় হাঁটে বা যানবহন নিয়ে যেতেও আতঙ্কে থাকে কখন বিপদ নেমে আসে।
তবে এ বিষয়ে খোকসা পৌরসভার মেয়র তারিকুল ইসলাম কুষ্টিয়ার সময়কে বলেন, আমি ওই এলাকায় গিয়েছি। আপাতত পাইপের মাধ্যমে পানি বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ওই এলাকার জনগণ অপরিকল্পিতভাবে বালি ভরাট ও অপরিকল্পিত বসতবাড়ি নির্মাণে পুরনো ড্রেন অকেজো হয়ে পড়েছে। তবে এই বর্ষা মৌসুমের পরে নতুন প্রজেক্টের মাধ্যমে ড্রেন পুনঃস্থাপন করার মধ্যে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এবং সুফল পাবে বলেও জানান।
দ্রুত এই জলাবদ্ধতা নিরসনের স্থায়ী সমাধানের দাবীও জানান এলাকার বাসিন্দারা।