র্যাব বলছে, তারা রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে, যিনি ‘শিশু বক্তা’ হিসেবে বাংলাদেশে বেশ পরিচিতি লাভ করেছেন।
র্যাবের ভাষায়, তাকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে নেত্রকোনা থেকে আটক করা হয়।
তিনি বিভিন্ন স্থানে ওয়াজে বক্তব্য দিয়ে পরিচিতি লাভ করেছেন। সম্প্রতি ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফরের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে যেসব বিক্ষোভ হচ্ছে তার কয়েকটিতে খুব কড়া ভাষায় বক্তব্য দিতে দেখা গেছে মি. ইসলামকে।
ফেসবুক ও ইউটিউবে তার যেসব ছবি ও ভিডিও আছে, তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, কণ্ঠ, শারীরিক গঠন ও মুখাবয়বের কারণে তাকে কম বয়েসী ছেলেদের মত মনে হয়।
ছোটখাটো গড়নের এই মানুষটির বয়স সম্পর্কে স্পষ্ট কোন তথ্য নেই, তবে তার বয়স কুড়ি থেকে ত্রিশ বছরের মধ্যে বলে একটি ধারণা প্রচলিত আছে।
র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার আল মইন বলছেন, “তার আসল বয়সটা আমাদের জানা নেই। তবে তিনি বয়সে শিশু নন, তা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারি।”
ইউটিউবে তার কয়েকটি ওয়াজের ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার নামের সাথে ‘শিশু বক্তা’ যোগ করার প্রতিবাদ করেন এবং নিজেকে প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে দাবি করেন।
তাকে তার অনুসারীরা রফিকুল ইসলাম মাদানী নামে সম্বোধন করেন।
র্যাবের মি. মইন জানান, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে হওয়া সহিংসতার প্রেক্ষিতে রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে।
“তিনি বিভিন্ন জায়গায় ‘রাষ্ট্রবিরোধী’, ‘উস্কানিমূলক’ বক্তব্য দিয়ে আসছেন বেশ কিছুদিন ধরেই। সেসব বক্তব্যের কারণে তাকে আটক করা হয়েছে”।
তবে সমকাল সুত্র বলছে, র্যাব দাবী করেছে, তার মোবাইলে পর্ন ভিডিও পাওয়া গেছে।
এর আগে ২৫শে মার্চ ঢাকার বায়তুল মোকাররমে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঢাকা সফরের বিরুদ্ধে চলা বিক্ষোভের সময় পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন তিনি। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিবাদ:
রফিকুল ইসলামকে আটকের পর তার মুক্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক।
বিবৃতিতে লেখা হয়, রফিকুল ইসলাম তার ওয়াজের মাধ্যমে ‘দেশের প্রতি ভালবাসার তাগিদে’ সাধারণ মানুষকে ‘অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে জাগ্রত হওয়ার আহ্বান’ করেন।
বিবৃতিতে রফিকুল ইসলামের মুক্তি দাবি করে অভিযোগ তোলা হয় যে দেশের প্রচলিত আইন অনুসরণ করে তাকে আইনের আওতায় আনা হয়নি।
সুত্র: বিবিসি ও সমকাল