বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জেলায় জেলায় কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন ছাত্রসংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন জায়গায় ছাত্রলীগের নারী কর্মীদেরও ধান কাটায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
এর আগে ২৪ এপ্রিল বোরো মৌসুমে কৃষকের ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীসহ তরুণ প্রজন্ম এবং ছাত্র ও যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ধান কাটার আহ্বান দেশজুড়ে যেন এক উৎসবে রূপ নিয়েছে। ছাত্রলীগের এমন কর্মসূচিতে খুশি কৃষকরা। অনেক কেন্দ্রীয় নেতা যারা ঈদের ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করছেন তাদের অনেককেই ধান কাটায় অংশ নিতে দেখা গেছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শেখ হাসিনার সরকার ঐতিহাসিকভাবেই কৃষক এবং প্রান্তিক জনপদের বন্ধু। একই সঙ্গে আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সব সময় এ দেশের গণমানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেছি এবং বর্তমান সময়ে যারা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে তারা কৃষকের সন্তান, শ্রমিকের সন্তান।
ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, আমরা দুর্যোগে-দুর্বিপাকে শুধু নয়, কৃষকের উন্নয়নে কৃষি বিপ্লব বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়ন করার জন্য এবং স্মার্ট অ্যাগ্রিকালচার বাস্তবায়নের জন্য কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার জন্য আমরা বদ্ধপরিকর। এ কারণেই বোরো মৌসুমে আমরা কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছি। এটির মাধ্যমে তরুণরা আজ এমন স্বেচ্ছাসেবীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। কৃষকদের প্রতি তাদের দায়বদ্ধতা অনুভব করছে। কৃষি অর্থনীতিকে জোরালো করা এবং কৃষিকে আধুনিকায়ন করার ক্ষেত্রেও তাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।