কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকারকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে যোগদান করতে বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন।
রবিবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের পক্ষে শেখ মোহাম্মদ হাসান ইমাম (পরিচালক, প্রশাসন) স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ আদেশ জারি হয়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, তাপস কুমারকে বদলি করা হয়েছে। তিনি ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আরএমও হিসেবে যোগদান করবেন। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাকে সেখানে যোগদান করতে বলা হয়েছে।
ডা. তাপস কুমার সরকারের বদলির আদেশে হাসপাতালের অনেক কর্মচারীই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, তাপস কুমার একজন করোনাযোদ্ধা। তিনি পরিশ্রমী চিকিৎসক। তার নেতৃত্বে চিকিৎসক-নার্সরা করোনা হাসপাতালে রোগীদের সেবা দিচ্ছেন। তার নির্দেশনায় চাহিদার তুলনায় সীমিত চিকিৎসক ও নার্স দিয়ে ৩০০-৩৫০ করোনা রোগী এবং উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রোগীদের সন্তোষজনক সেবা দিচ্ছেন। তবুও মাঝেমধ্যে রোগীর চাপের কারণে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। এমতাবস্থায় তাকে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি চলে গেলে চিকিৎসা ব্যবস্থার অবনতি হবে। এ জন্য তার বদলির আদেশ প্রত্যাহার করা হোক।
এ বিষয়ে কথা বলতে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম ও কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. তাপস কুমার সরকারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. তাপস কুমার সরকার ১৯৮৮ সালে কুষ্টিয়া জেলা স্কুল থেকে এসএসসি ও ১৯৯০ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ১৯৯৯ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পড়াশুনা শেষ করেন।
২০০৮ সালে তিনি কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পান। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। প্রায় ৬ বছর ধরে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন বিএমএ কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তিনি।