কুষ্টিয়ায় শ্বশুরের বিরুদ্ধে ছেলের বউকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) কুষ্টিয়া সদর থানায় এ অভিযোগের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার আসামি হচ্ছেন, কুষ্টিয়া শহরতলির হাউজিং বি ব্লক এলাকার শ্বশুর বাবুল জোয়ারর্দ্দার (৬০), শ্বাশুড়ি নাসিমা বেগম (৫০) ও স্বামী নাসিমুল ইসলাম সাগর (৩১)। কুষ্টিয়া মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, গত সপ্তাহে শ্বশুর বাবুল জোয়ারর্দ্দার প্রথমবার ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে । তখন বিষয়টি পারিবারিক ভাবে ওই গৃহবধূ তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ী নাসিমা ইসলামকে জানান। কিন্তু তারা বিভিন্ন টালবাহানার মাধ্যমে অস্বীকার করেন। এরপর গত (১১ই অক্টোবর) সকালে ওই গৃহবধূকে দ্বিতীয়বার জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই গৃহবধূ তার বিষয়টি তার মাকে জানান।
ওই গৃহবধূর মা জানান, গত (১৪ ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯) আমার মেয়ের সাথে হাউজিং বি-ব্লকের বাবুল জোয়ারদ্দারের ছেলে নাসিমুল ইসলাম সাগর (৩১) এক লক্ষ টাকা দেনমোহরে বিবাহ হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই নাসিমুল ইসলাম সাগরের পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের কাছে দুই লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে আসছিল। যৌতুক দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে আমার মেয়েকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পারিবারিকভাবে দেনদরবার করে গত ২০-২২ দিন আগে আমার মেয়েকে পুনরায় তার শ্বশুর বাড়িতে পাঠানো হয় । আমার মেয়ের ননদ জেবিনের ছেলে হওয়ার কারণে লিয়া মনির শ্বশুর বাবুল জোয়ারর্দ্দার এবং শ্বাশুড়ি নাসিমা বেগম অধিকাংশ সময়ে তাদের হাসপাতাল মোড় বাড়িতে অবস্থান করতেন। আমার মেয়ের শ্বশুর মাঝে মাঝে তার হাউজিংয়ের বাসায় যেতেন দেখভাল করার জন্য। মেয়ের স্বামী খায়রুল ইসলাম সাগর অধিকাংশ সময় বাইরে থাকার কারণে প্রায় সময় বাসায় একা একা থাকতেন। সেই সুযোগে আমার মেয়ের শ্বশুর বাবুল জোয়ারর্দ্দার প্রথমবার গত সপ্তাহে তাকে ধর্ষণ করে। তখন বিষয়টি পারিবারিক ভাবে তার স্বামী এবং শ্বাশুড়ী নাসিমা ইসলামকে জানানো হয়। এরপর গত ১১ই অক্টোবর সকালে ওর শ্বশুর দ্বিতীয় বারের মতো ধর্ষণ করেন। এ খবর শুনে আমি আমার মেয়ের বাড়িতে নিয়ে আসি। আজ ১৩ই অক্টোবর শ্বশুর বাবুল জোয়ারর্দ্দার (৬০), শ্বাশুড়ি নাসিমা বেগম (৫০) ও স্বামী নাসিমুল ইসলাম সাগর (৩১) কে আসামী করে অভিযোগ দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, আজ মঙ্গলবার শ্বশুর কর্তৃক গৃহবধূ ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তবে এখনও আসামি ধরা পড়েনি।