কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কাগজপত্র চেয়ে রবিউল ইসলামকে কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ধার্য দিনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সশরীর হাজির হয়ে আরও কিছুদিন সময় চাইলে দুদক তা মঞ্জুর করে।
হাজি রবিউল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর এলাকায়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। ২২টি অভিযোগের বিষয়ে তথ্য দিয়ে বলা হয়, তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরবর্তী তিন বছরে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।
কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান হাজি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর পরিপ্রেক্ষিতে কিছু কাগজপত্র চেয়ে রবিউল ইসলামকে কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ধার্য দিনে আজ বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সশরীর হাজির হয়ে আরও কিছুদিন সময় চাইলে দুদক তা মঞ্জুর করে।
হাজি রবিউল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি। তিনি পেশায় ব্যবসায়ী ও কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি। তাঁর বাড়ি কুষ্টিয়া পৌরসভার হরিশংকরপুর এলাকায়।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজি রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। ২২টি অভিযোগের বিষয়ে তথ্য দিয়ে বলা হয়, তিনি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ নেওয়ার পরবর্তী তিন বছরে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন।
এ বিষয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চলতি বছরের ৭ এপ্রিল অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের কুষ্টিয়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ এপ্রিল দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল হাজি রবিউল ইসলামকে চিঠি দেন এবং সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র নিয়ে আজ ওই কার্যালয়ে হাজির হতে বলেন। হাজি রবিউল আজ সকালে দুদক কার্যালয়ে গিয়ে আরও কিছুদিন সময় চেয়ে আবেদন করেন। দুদক তাঁর আবেদন গ্রহণ করে এক সপ্তাহ সময় দেয়।
দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, নোটিশে হাজি রবিউল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ ও পাসপোর্টের ফটোকপি; তাঁদের এবং তাঁদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের নামে থাকা স্থাবর সম্পদের (জমি, প্লট, বাড়ি, ফ্ল্যাট, দোকান, মার্কেট, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, খামার, ফার্ম ও অন্যান্য) দলিল, অনুমোদিত নকশা, লিজ/বরাদ্দ/ক্রয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র; অস্থাবর সম্পদ (সঞ্চয়পত্র, এফডিআর, বন্ড, শেয়ার বিনিয়োগ, গাড়ি ও অন্যান্য) ক্রয়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র এবং ব্যাংক হিসাব ও ডিপোজিট স্কিমের (যদি থাকে) বিবরণী; তাঁদের নামে (ব্যক্তিগত/ব্যবসায়িক) শুরু থেকে সর্বশেষ দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নের সার্টিফাইড কপি; ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা অন্যান্য থেকে গৃহীত ঋণ/দায়সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে।
দুদক কুষ্টিয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল বলেন, নোটিশে হাজি রবিউলসহ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের বিবরণী চাওয়া হয়েছিল। তিনি আজ হাজির হয়ে সময় নিয়েছেন।
এর আগে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্কুলশিক্ষিকা শাম্মী আরা পারভীনের হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে নামে দুদক। আতাউর রহমান কুষ্টিয়া সদর আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফের চাচাতো ভাই এবং কুষ্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর স্ত্রী শাম্মী আরা ৪ নম্বর পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। ইতিমধ্যে আতাউর–শাম্মী দম্পত্তি তাঁদের সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন বলে দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে।