কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আতিয়ার রহমানকে গলা কেটে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ সময় তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। অন্যজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আছান আলী শেখ আদালতে উপস্থিত ছিল।
সাজাপ্রাপ্তরা হলো- আছান আলী শেখ উত্তর চাঁদপুর গ্রামের কফিল উদ্দিন শেখের ছেলে ও মো. সেলিম পলাতক রয়েছে। তিনি লাহিনী গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, টাকা-পয়সা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় নিজ বাড়ি থেকে আতিয়ারকে কৌশলে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। পর দিন সকালে স্থানীয় ধর্মপাড়া মাঠের ধান ক্ষেতের আইল থেকে আতিয়ারের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের ভাই হাবিবুর রহমান ২৪ অক্টোবর কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২১ নভেম্বর তিন আসামির বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। আদালতে দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে পেনাল কোডের ১৪৩/৩২৩/৩০২/৩৪ ধারায় দুই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। এ মামলার তিন নম্বর আসামি রেজাউলকে বেকসুর খালাস দেন আদালত