জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন কুষ্টিয়ার সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার বেলা ১১টায় কলেজের প্রধান ফটকের সামনে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা এই দাবি জানান।
কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স শেষ বর্ষের পাঁচটি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মাত্র দুটি পরীক্ষা বাকি আছে। এরই মধ্যে চলমান পরীক্ষা স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। তাঁরা এই সিদ্ধান্তের জোর প্রতিবাদ জানিয়ে আবার পরীক্ষা নেওয়ার দাবি জানান।
গত সোমবার ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ক্লাস শুরু হবে আগামী ২৪ মে। এর আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। শিক্ষামন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, তাঁদের চলমান পরীক্ষাগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলছেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নিয়ে আসছিল। পরীক্ষা নেওয়ার ফলে সেশন জটের সংকট থেকে উত্তরণের পথ তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু এখন পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। দেশে এখন সব ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক কার্যক্রম চলমান। শুধু পরীক্ষা স্থগিত করা হলো।
কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, ‘করোনায় যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকতে পারে, তাহলে পরীক্ষা কেন নয়? দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তায় থাকব।’
হিসাববিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী শারমিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের পরীক্ষা চলছিল, চলবে এবং মার্চ মাসের মধ্যেই পরীক্ষা নিতে হবে।’
এ ব্যাপারে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র অমিত হাসান বলেন, তাঁদের স্বপ্ন দ্রুত পরীক্ষা শেষ করে কর্মস্থলে গিয়ে পরিবারের হাল ধরবেন। এতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল তাঁদের শিক্ষাজীবন।