বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:০৭ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে নির্যাতনের শিকার সাংবাদিক

কাজী সাইফুল / ৯৫ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২২, ৪:৪৫ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এনজিও ম্যানেজার কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন স্থানীয় এক সাংবাদিক।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে কুষ্টিয়া পৌর এলাকার সাদ্দাম বাজার এলাকার রুরাল রিকনস্ট্রকাশন ফাউন্ডেশন নামক একটি এনজিওতে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ম্যানেজার ও তার লোকজন কর্তৃক মারধরের শিকার হন কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক সময়ের দিগন্ত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ।

এ ব্যাপারে সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মিতানূর রহমান বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রুরাল রিকনস্ট্রকাশন ফাউন্ডেশনের কুষ্টিয়া সদর জোনে সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজের বড় ভাইয়ের স্ত্রী মিতানূর রহমান ঋণ গ্রহণের জন্য গত ১০ দিন আগে আবেদন করেন। ম্যানেজার তাকে অল্প সময়ের মধ্যে ঋণ দেওয়ার কথা বলে ৪ হাজার ৯শ টাকা সঞ্চয়ও জমা নেন।  কিন্তু সঞ্চয় জমা নেওয়ার পর ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ঋণ না দিয়ে ঘুড়াতে থাকেন। পরবর্তীতে হয়রানির বিষয়টি সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজকে জানান তার ভাবি মিতানূর রহমান। বিষয়টি জানার পর সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ ও তার ক্যামেরাম্যান নাসিম রুরাল রিকনস্ট্রকাশন ফাউন্ডেশনে গিয়ে গ্রাহক হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে। ম্যানেজার মো. বিল্লাল হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে তার লোকজনকে নির্দেশ দেন তাদের দুজনকে অফিসের ভেতরে ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে ম্যানেজারের লোকজন তাদের টেনে হেঁচড়ে অফিসের ভেতরে নিয়ে গিয়ে একটি কক্ষে আটকে বেধরক মারধর করে এবং ক্যামেরা ভাংচুর করে। এসময় ম্যানেজার ও তার লোকজন সাংবাদিক নাব্বির ও তার ক্যামেরাম্যানকে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। পরবর্তীতে তাদের চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা দেন।

সাংবাদিক নাব্বির আল নাফিজ বলেন, আমার ভাবিকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে রুরাল রিকনস্ট্রকাশন ফাউন্ডেশনের ম্যানেজার সঞ্চয় জমা নেন। এর পর থেকে আজ কাল করে দীর্ঘদিন ধরে তাকে ঘুড়াচ্ছেন। বিষয়টি আমাকে জানালে আমি খোঁজ খবর নিয়ে দেখি তারা আরও বেশ কয়েকজন ঋণ আবেদনকারীকে ঋণ দেওয়ার কথা বলে সঞ্চয় জমা নিয়ে ঋণ না দিয়ে তাদেরকেও দীর্ঘদিন ধরে ঘোরাচ্ছেন। এসব বিষয়ে জানার জন্য আজ বিকালে ওই অফিসের বাইরে থেকেই ম্যানেজারকে খোঁজ করি পরে ম্যানেজার বাইরে এসে তার লোকজনকে আমাকে ধরে ভেতরে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন। পরে তার লোকজন আমাকে জোর করে টেনে হেঁচড়ে অফিসের ভেতর নিয়ে গিয়ে একটা ঘরে আটকে রেখে আমাকে এবং আমার ক্যামেরাম্যানকে বেধরক মারধর করে আমাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলে। এসময় তারা আমাদের মেরে ফেলারও হুমকি দেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন খাঁন বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সাথেই দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর