কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার নূর মোহম্মদ শাহকে হাত-পা বেঁধে হত্যার ঘটনায় চার আসামিকে ফাঁসি ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি হলেন- কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার খোকসা মাঠপাড়া এলাকার আলী শেখের ছেলে ও নিহত নূর মোহাম্মদের পিয়ন ফারুক হোসেন (৩৮), কুমারখালী উপজেলার গাট্টিয়া গ্রামের আব্দুল সাত্তারের ছেলে ও রেজিস্ট্রি অফিসের নকলনবিশ সাইদুল ইসলাম (৩৭), কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এস্টেট এলাকার গোলাম কিবরিয়ার ছেলে ও মিরপুর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের পিয়ন কামাল শেখ (৪০) এবং কুমারখালীর বানিয়াপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে মশিউল আলম (৪০)।
সাবরেজিস্ট্রার নূর মোহম্মদ হত্যা মামলায় কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে মনোয়ার হোসেন ডাবলুকে (৩৮) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ অক্টোবর রাতে নিজ বাসায় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার নুর মোহম্মদ শাহকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে আসামিরা। হত্যাকাণ্ডের পরের দিন ৯ অক্টোবর দুপুরে নিহতের ছোট ভাই কামরুজ্জামান বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ২১ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পরপরই দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে নূর মোহাম্মদের স্বজনরা রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আদালতে উপস্থিত তার স্বজনরা বলেন, নূর মোহাম্মদকে হাত-পা বেঁধে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। তিন বছর আদালতে মামলার কার্যক্রম শেষে চার আসামিকে ফাঁসি ও এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে আমরা খুবই খুশি।
নূর মোহাম্মদের বাড়ি কুড়িগ্রামে। তিনি কুষ্টিয়া শহরের বাবর আলী রেলগেট এলাকায় বিসি স্ট্রিট সড়কের হানিফ আলীর বাড়ির তিন তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন।