জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও প্রশাসনের প্রতিরোধব্যবস্থা চলছে ঢিমেতালে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে কুষ্টিয়ায় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে প্রশাসন। তবে এর মধ্যেই গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় রেকর্ডসংখ্যক সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। ৯১ জন আক্রান্তের পাশাপাশি মারা গেছেন ২ জন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে এটাই সর্বোচ্চ শনাক্ত। সম্প্রতি কুষ্টিয়া পৌরসভায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। কিন্তু এখানে চার দিন ধরে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। এরপরও কেন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তা গবেষণা করা প্রয়োজন। সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মতো ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ২৯৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে পিসিআর ল্যাবে ১৬২টি নমুনায় ৫৮টি, অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ১১৬টি নমুনার মধ্যে ৩২ ও বিদেশগামী ১৫ জনের মধ্যে ১ জনের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৭৩ শতাংশ। নতুন শনাক্ত হওয়া রোগীর মধ্যে সদর উপজেলায়ই ৩৯ জন, যার সিংহভাগই পৌর এলাকার।
জেলায় করোনায় সংক্রমিত রোগীর মোট সংখ্যা ৫ হাজার ৭৩৬। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৮ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩২ জন।
এদিকে জেলায় করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটলেও প্রশাসনের প্রতিরোধব্যবস্থা চলছে ঢিমেতালে। গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় সাত দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। কিন্তু মানুষের চলাচল দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না।
বিধিনিষেধের গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কুষ্টিয়া পৌর এলাকায় কাঁচাবাজার বাদে সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। শহরে কোনো প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে শহরের এনএস রোডের কিছু দোকানপাট বন্ধ ছাড়া আর কোথাও বিধিনিষেধ মানতে দেখা যাচ্ছে না। মানুষ চলাচল করায় যানবাহনের উপস্থিতিও চোখে পড়ছে।