বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় বন্ধুর হাতে বন্ধু নির্যাতন ভিডিও ভাইরাল

মিলন খন্দকার / ৩০৯ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ৪:০৯ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়ায় ৮ম শ্রেণী পড়ুয়া লাবিব আলমাস নামে এক ছাত্রকে বন্ধুরা দাওয়াতের কথা বলে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করে ভিডিও ধারন করে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

গতকাল বিকেলে হাউজিং চাঁদাগারের মাঠে এ ধরনের ন্যাক্যারজনক ঘটনা ঘটেছে। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে সমালোচনার ঝঁড় উঠে। অনেকেই বলছে কুষ্টিয়ায় কিশোরদের অপরাধ প্রবণতা প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখনই এই অপরাধ প্রবণতাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ঘটবে বড় ধরনের দূঘর্টনা। কিশোরদের এই অপরাধ প্রবণতা কমাতে হলে পরিবারকেই দায়িত্ব শক্ত হস্তে।

এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্র লাবিবের অভিভাবক জানায়, আমার ছেলে লাবিব আলমাস কুষ্টিয়া নামকরা একটি স্কুলের ছাত্র। সে স্কুলে অ্যাসাইমেন্ট জমা দিতে যায়। পরে তার বন্ধু অভি, রাতুলের সাথে দেখা হলে তারা আমার ছেলেকে তাদের বাসায় দাওয়াত আছে বলে জানায়। আমার ছেলে বিকালে তাদের বাসা কোর্টপাড়াতে গেলে ঐখান থেকে রিক্সা যোগে হাউজিং চাঁদাগার মাঠের মধ্য নিয়ে যায়। আগে থেকেই ওকে মারার পরিকল্পনা করেছিলো ওর বন্ধুরা।

চাঁদাগার মাঠে পৌছানোর পর আমার ছেলেকে অভি ও রাতুল শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। স্থাণীয় কয়েকজন ঘটনাটি দেখে এগিয়ে আসে এবং আমার ছেলে রিক্সা যোগে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে অল্পের জন্য জীবন রক্ষা পেয়েছে। এ ধরনের ন্যাক্যার জনক ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রের মা।

এ ঘটনায় নির্যাতিত ছাত্র লাবিব আলমাস জানায়, আমি এই বন্ধুর সাথে একই স্কুলে পরতাম। স্কুলে খারাপ কাজ করায় স্কুল থেকে তাকে টিসি দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। তারপর থেকে আমাদের কথা হয় ফেসবুকের মাধ্যমে। আমি সকালে স্কুলে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গেলে তার সাথে দেখা হয় এবং আমাকে বিকালে দাওয়াতের কথা বলে। পরে দাওয়াত তো দুরের কথা কোন কিছু ভাবার আগে আমাকে তিন চারজন মিলে এলোপাতাড়ীভাবে মারপিট করে।

এ বিষয়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে স্কুল ছাত্রের প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা হলে তিনি জানান লাবিব আলমাস সে আমাদের স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্র। তাকে কি কারণে মারছে বিষয়টি এখনও জানতে পারি নাই। তবে এ বিষয়টি নিয়ে আমি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর