কুষ্টিয়ার কৃষ্টি-কালচারকে দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে কুষ্টিয়া জেলা সমিতিকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ ও কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ। রবিবার (২৮ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলী রোডে অফিসার্স ক্লাবে কুষ্টিয়া জেলা সমিতির অভিষেক অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় কুষ্টিয়ার সন্তানদের অক্লান্ত পরিশ্রমে কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সমিতির বিভিন্ন কার্যক্রমেও বঙ্গবন্ধুর দর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে। তাই আমি এই সমিতির একজন উপদেষ্টা হতে পেরে গর্ববোধ করি।
কুষ্টিয়া জেলা সমিতির মানবকল্যাণ ও জনমুখী কার্যক্রমের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ঢাকার বুকে একখণ্ড কুষ্টিয়া নির্মাণে ইতিমধ্যে সমিতি ঢাকার পল্টনে নয়তলা বিশিষ্ট নান্দনিক স্থাপনা কুষ্টিয়া ভবন নির্মাণ করেছে। শিক্ষাবৃত্তি, স্বাস্থ্যসেবা করোনা মহামারিতে কুষ্টিয়াবাসীর পাশে দাঁড়ানোসহ কুষ্টিয়ার কল্যাণে সমিতির মানবিক কর্মকাণ্ড কুষ্টিয়াবাসীর হৃদয় স্পর্শ করেছে বলেও মনে করেন তিনি।
হানিফ বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী এবং জন্মশতবার্ষিকী জাতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দুটি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে কুষ্টিয়া সমিতির নেতৃবৃন্দকে একটি কর্মসূচি হাতের নেয়ার প্রস্তাব দেন মাহবুব উল আলম হানিফ। তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলার প্রথম অস্থায়ী সরকারের শপথ এই কুষ্টিয়াতেই হয়েছিল। তাই দিবসদুটি নিয়ে কুষ্টিয়ার একটি দায়বদ্ধতা রয়েছে। এ সময় তিনি কুষ্টিয়ার বিখ্যাত পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসব করারও অনুরোধ করেন।
বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কুষ্টিয়া সমিতির সভাপতি এম এ সালাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- কুষ্টিয়া জেলা সমিতি ঢাকা’র প্রধান উপদেষ্টা, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন আইনবিদ ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, বার-এট-ল। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মো. সায়েদুল ইসলামসহ কুষ্টিয়ার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়াও সমিতির মহাসচিব মো. রবিউল ইসলাম, বার্ষিক সাধারণ সভা এবং বিশেষ সাধারণ সভার প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও সাবেক মহাসচিব জনাব মো. আব্দুর রউফ, সাংগঠনিক সচিব ও কুষ্টিয়ার সময়ের প্রধান উপদেষ্টা মো. রিজওয়ানুল ইসলাম রিজুসহ নির্বাহী ও উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, সমিতির সাবেক সভাপতি ও মহাসচিব, সমিতির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে কুষ্টিয়ার শিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ কনসার্ট। কনসার্ট শেষে নৈশভোজের মাধ্যমে শেষ করা হয় কুষ্টিয়া সমিতির বর্ণাঢ্য আয়োজন।