ভিজিডি কার্ড বিতরণে নানা জালিয়াতির মধ্যে দিয়ে এমনিতেই জেলায় আলোচনায় রয়েছে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলা। সম্প্রতি উঠেছে আরেক আপত্তিকর অভিযোগ।
দৌলতপুরের রিফায়েতপুর ইউনিয়নের শিক্ষার্থী সাদ্দাম রন্টুর মা রুবীনা খাতুনের নামে দুস্থদের সহায়তার চাল ১২ থেকে ১৫ বার উত্তলন হলে তাজ্জব হোন তারা। স্বচ্ছল এই পরিবারটির অভিযোগ, ভিজিডি কার্ডের বিষয়ে তারা কিছু জানেনও না আবার প্রত্যাশও করেননা। আকস্মিক ভাবে উত্তলনের খাতায় নাম দেখে তারা অবাক হয়েছেন।
এখন প্রশ্ন উঠেছে কোথায় গেল তাহলে রুবীনা খাতুনের নামে তোলা সরকারি চাল! কে বা কারা করতে সক্ষম হয়েছে এমন নিপুণ কাজ!
এবিষয়ে জানতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জামিরুল ইসলাম বাবুর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এখনও পরিষদে লিখিত কোন অভিযোগ মারফত আমরা জানতে পারিনি। এধরণের অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ছবির মেম্বারের বিষয়টি বেশি অবগত থাকার কথা। এটা তার হাতে করা।
সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুস ছবুর ওরফে ছবির মেম্বার বলেন, চেয়ারম্যান এবং রুবীনা খাতুনের পরিবার ভালো বলতে পারবেন। আমার জানামতে একটি দিনমজুর পরিবার চালটি পেয়ে আসছে। দিনমজুর কামরুল রুবীনা খাতুনের পরিবারের কাজ করে।
তবে রুবীনা খাতুনের ছেলে জানান, কামরুল কাজ করে ছবির মেম্বারের। কামরুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
তবে, স্বচ্ছল নারী রুবীনা খাতুনের পরিচয়ে চাল অনুমোদনের বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত জবাব দিতে পারেনি কেউ।
গণমাধ্যমের কাছে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে, এই ইউনিয়নে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কার্ড ভুতুড়ে। ইউনিয়নটির বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে ইতোমধ্যেই সুস্পষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলা প্রশাসনে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডে অনিয়মের তদন্ত চলমান। নতুন এই ঘটনার মধ্যদিয়ে ফের আলোচনায় আসলো কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ভিজিডি কর্মসূচি।