দৌলতপুরের আল্লার দর্গায় বিশ্বাস ক্লিনিক এন্ড সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোববার সকালে প্রসুতি রমনী খাতুনের (২৫) মৃত্যু হয়।
নিহত রমনীর পরিবারের অভিযোগ, বিনা চিকিৎসায় ৫ ঘণ্টা ফেলে রাখায় তার মৃত্যু হয়েছে। গর্ভের সন্তানসহ রমনীর মৃত্যুতে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে ওসি জহুরুল ইসলাম ফোর্স নিয়ে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বেসরকারি এই ক্লিনিকটি সিলগালা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এসিল্যান্ড আজগর আলী দুপুরে এ সিদ্ধান্ত নেন।
জানা গেছে, শনিবার দিনগত রাত ৩টার দিকে প্রসব বেদনায় থাকা রমনীকে ভর্তি করা হলে, সকাল ৮টা পর্যন্ত কোন চিকিৎসা দেয়া হয়নি, পরে চিকিৎসক এসে চিকিৎসা দেয়া শুরু করতেই প্রসূতি ওই মায়ের মৃত্যু হয়।
নিহত রমনী বেগুনবাড়িয়া এলাকার শ্রমজীবী বাচ্চুর স্ত্রী। প্রথম সন্তান জন্মদিতে গিয়ে মৃত্যু হলো রমনী খাতুনের।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী বলেন, দৌলতপুরে বেসরকারি খাতের চিকিৎসা সেবা আরও বেশি নজরদারিতে আনা হবে।
ওসি জহুরুল আলম বলেন, রমনীর লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।