গৃহহীনদের নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্যের আবাসস্থল দেয়ার উদ্যোগের অংশ হিসাবে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে অনেকটাই সফল প্রকল্প রয়েছে তিনটি, নতুন করে গড়ে উঠেছে উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের পাকুড়িয়া গ্রামে। ৩শ’৪০টি পরিবারের ধারণক্ষমতা নিয়ে প্রায় ২৪ একর জমিতে ২০১৭ সালে গড়ে ওঠা এই আশ্রয়ন প্রকল্পে গৃহ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১শ ৬১ পরিবারকে।
যার মধ্যে প্রকৃতপক্ষে সেখানে অবস্থান করছে ১শ’ মতো পরিবার। ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধিনে এই প্রকল্প বাস্তবায়নে গৃহহীনদের সুবিধার্থে ৭ শর্ত বেধে দেয়া হলেও প্রকল্পটি গড়ে ওঠে চলাচলের সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন এক ফসলের মাঠে। বসবাসরতরা জানান, ফসলের ক্ষেত দিয়ে চলতে হয়, কৃষকদের সাথে ঝামেলাও হয়। তারা বলেন, আমরা বিভিন্ন কাজ করে খায়, কেউ অটোরিকশা চালায়,কেউ ভ্যান গাড়ি।
সেগুলো নিরাপদে আমাদের কাছে এনে রাখতে পারিনা। মূল জনবসতি থেকে ছেঁড়া দ্বিপের মতো বলে মন্তব্য জানান সেখানকার লোকজন। প্রকল্পটির সড়ক সমস্যা সমাধানে সম্মিলিত উদ্যোগের কথা বলা হলেও এখনও পর্যন্ত ব্যাটেবলে মিলেনি। আশ্রয়কেন্দ্রে নানা ভোগান্তি আর যোগাযোগ ব্যাবস্থার অভাবে সেখানে যেতে অনাগ্রহী গৃহহীণরা।
সড়কের ব্যবস্থা হলে ওই গ্রামটি দৌলতপুরের আরও গৃহহীনকে আশ্রয় দিতে পারবে এবং অর্থনীতি ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে মন্তব্য করে ,শিগগিরই বিষয়টি সমাধানের কথা জানান দৌলতপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ মামুন। সদ্য বিদায়ী সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজগর আলী বিদায়ের আগে দেয়া বক্তব্যে বলেন, খুবই সুন্দর একটি আশ্রয়ন প্রকল্প সেখানে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সড়কের কারনে সেখানে গৃহহীন শ্রমজীবীদের থাকার অাগ্রহ কম রয়েছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আসা করছি প্রকল্পটি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ রূপ পাবে। রাস্তাটি নির্মানের জন্য স্থানীয়দের সহযোগীতা প্রয়োজন,তাদের সাথে কথা বলা হচ্ছে, আশা করছি দ্রুত বিষয়টি সমাধান হবে জানিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য আঃকাঃম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ বলেন, এই প্রকল্পটি যখন শুরু হয়েছে তখনই ভেবে দেখা উচিত ছিলো সেখানে আশ্রয় গ্রহণকারীদের যাতায়াত প্রসঙ্গে। শিগগিরই ওই আশ্রয়ণ প্রকল্পের সফল বাস্তবায়ন হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।