রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন

কুষ্টিয়া-৪: মনোনয়ন ফরম নিলেন আব্দুর রউফ

মো. মোমিন ইসলাম / ১৯৩ বার নিউজটি পড়া হয়েছে
আপডেট টাইম: সোমবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৩, ৫:৪৭ অপরাহ্ন

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে আবদুর রউফ কুষ্টিয়ার সময়কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবদুর রউফ কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসন থেকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আবদুর রউফ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা।

তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসন থেকে ৪১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য হানিফ, জর্জ, বাদশাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ মনোনয়ন পেয়েছেন।

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ বলেন, আমি কুমারখালী-খোকসা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি দলীয় মনোনয়ন পায়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আসন্ন নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। কুমারখালী-খোকসার মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। আমাদের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার জয় হবে। দল যাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা কাজ করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।

একাধিক আওয়ামী লীগের নেতা জানিয়েছেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রউফ নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করবেন। এ ক্ষেত্রে দলও খুব একটা কঠোর হবে না। কারণ, বিএনপি ভোটে আসবে না, এটি ধরে নিয়েই ক্ষমতাসীনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দেখাতে চাইছেন। যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ জিততে না পারেন। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলা, ভোট উৎসবমুখর করা ও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে একাধিক বিকল্পের একটি হলো মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখা।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।


আপনার মতামত লিখুন :

Comments are closed.

এ জাতীয় আরো খবর...
এক ক্লিকে বিভাগের খবর