স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়তে স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী। সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে, তার পক্ষে এ ফরম উত্তোলন করেন তার ছেলে। বিষয়টি কুষ্টিয়ার সময়কে নিশ্চিত করেছেন রেজাউল হক নিজেই।
রেজাউল হক চৌধুরী ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফাজ উদ্দিন আহমদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।
তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসন থেকে ৪১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন। তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য হানিফ, জর্জ, বাদশাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।
কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ মনোনয়ন পেয়েছেন।
কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। আমি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। দৌলতপুরের অনেক উন্নয়ন আমার সময়ে হয়েছে। দৌলতপুরে মানুষ আমার সঙ্গে আছেন।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার জয় হবে। দল যাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা কাজ করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।
একাধিক আওয়ামী লীগের নেতা জানিয়েছেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে দলও খুব একটা কঠোর হবে না। কারণ, বিএনপি ভোটে আসবে না, এটি ধরে নিয়েই ক্ষমতাসীনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দেখাতে চাইছেন। যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ জিততে না পারেন। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলা, ভোট উৎসবমুখর করা ও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে একাধিক বিকল্পের একটি হলো মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখা।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।