অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে রক্ত সরবরাহ, নতুন রক্তদাতা তৈরী এবং দীর্ঘ পরিসরে মানুষকে রক্তদান সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ৮ই আগষ্ট প্রতিষ্ঠিত হয় কুষ্টিয়া ব্লাড ডোনার্স ক্লাব। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সুনাম ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে এই সংগঠন। এই পথ পরিক্রমায় উপকৃত হয়েছে কুষ্টিয়া জেলার হাজার হাজার মানুষ। আর এর পুরো কৃতিত্ব সংগঠনটির একঝাক তরুন আর মানবিক স্বেচ্ছাসেবীদের।
এরই ধারাবাহিকতায় সংগঠনের কার্যকমকে আরও গতিশীল করতে অত্র ১০ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং সংগঠনের এর এক বছর মেয়াদী নতুন আংশিক কমিটি ঘোষনা করা হয়।
উক্ত কমিটিতে সভাপতি হিসাবে ঘোষনা করা হয় ”মোঃ রিফাত হোসেন” কে এবং সাধারন সম্পাদক হিসাবে ঘোষনা করা হয় ”শুভ ইসলাম” কে। উভয়ই অনেকদিন ধরে সংগঠনের কাজের সাথে জড়িত। দুজনেই নিয়মিত রক্তদাতা এবং পরিশ্রমী স্বেচ্ছাসেবী। কুষ্টিয়ার স্বেচ্ছাসেবী মহলেও রয়েছে দুজনের ব্যপক পরিচিতি এবং জনপ্রিয়তা।
কুষ্টিয়া ব্লাড ডোনার্স ক্লাবের নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক জোটের চেয়ারম্যান, বঙ্গবন্ধু পরিষদ কুষ্টিয়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক ড. আমানুর আমান এবং জোটের সমন্বয়ক, আইনজীবী সুরক্ষা আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পর্ষদের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. মো: মুহাইমিনুর রহমান পলল। এছাড়াও নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়েছে সম্মিলিত সামাজিক জোটের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উক্ত কমিটি অনুমোদন করেন কুষ্টিয়া ব্লাড ডোনার্স ক্লাব এর প্রতিষ্ঠাতা “‘আশিক হাসান” এবং পরিচালক “শাওন আফরিন”। কমিটি প্রসঙ্গে সভাপতি রিফাত বলেন- “সামনে অনেক ভালো কিছু পরিকল্পনা আছে। সবার সহযোগিতা পেলে ইনশাআল্লাহ পজিটিভ আউটপুট আসবে।’
এই প্রসঙ্গে সাধারন সম্পাদক শুভ বলেন- “পদ-পদবী মানে বাড়তি দায়িত্ব। সামনে অনেক কাজ করতে হবে। পূর্নাঙ্গ কমিটি দিতে হবে। কুষ্টিয়ার প্রতিটা থানায় টিম করা হচ্ছে। কিছু সাংগাঠনিক কাজও বাকি আছে। এরপর আমরা বেশি বেশি সচেতনতামূলক প্রোগাম এবং রক্তদাতা সংগ্রহে মাঠে নামব।”
উল্লেখ্য যে রক্তদান একটি উৎকৃষ্ট ইবাদত। প্রতিবছর লাখ লাখ ব্যাগ রক্ত লাগে সারা বাংলাদেশে। এর মধ্যে মাত্র ৩৫ থেকে ৪০ ভাগ রক্ত রোগীর লোক ম্যানেজ করে বা আত্মীয় এর মধ্যে থেকে সংগ্রহ করে। বাকি রক্তের জন্য অসহায় হয়ে যায় এইসমস্ত রক্তগ্রহীতারা। অনেক সময় বাধ্য হয়ে রক্ত কিনতে হয় বিভিন্ন দালাল থেকে। এই রক্তগুলো যেমন অনিরাপদ, তেমন ব্যয়বহুল। এর প্রধান কারন বেশিরভাগ রোগীর লোক অসচেতন এবং জনসংখ্যার একটা বড় অংশ রক্তদান করতে অনাগ্রহী বা ভয় পায়। এই সমস্যা নিরসনেই সারাদেশে কাজ করছে অসংখ্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং স্বেচ্ছাসেবী।